কুড়িপাড়া স্টার পার্টিক্যাল বোর্ড মিল অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ
কুড়িপাড়া স্টার পার্টিক্যাল বোর্ড মিলে শত্রুসেনা ও রাজাকারদের একটা বিশাল ক্যাম্প ছিল। এ ক্যাম্পের দায়িত্ব ছিল রাজাকার কমান্ডার মোঃ মোস্তফা ও রফিক চেয়ারম্যান। এরা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, বন্দর, সিদ্দিরগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানার মা বোনদের এনে পাঞ্জাবিদের হাতে তুলে দিন। নিরীহ গ্রামবাসীড়া তাদের ভয়ে সব সময় তটস্থ থাকত। কুড়িপাড়া স্টার পার্টিক্যাল বোর্ড মিলটির অবস্থান ছিল বন্দর থানার কুড়িপাড়া বাজারের উত্তর পাশে এবং শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে। নভেম্বর মাসের ১০/২০ তারিখে বন্দরের বি এল এফ বাহিনীর গ্রুপ কমান্ডার আব্দুর রশীদ ও সেলিমের গ্রুপ মোঃ নুরুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন খান, আজাদ খান, আনোয়ার, কাজী নাসির, মোঃ নুরুল হক, মইনুদ্দীন, মোঃ শফিউদ্দিন, দীন মোহাম্মদ, দীন ইসলাম, শাহেন শাহ্, রোকনউদ্দীন, এসহাক মোল্লা, নুরুল ইসলাম মাস্টার, মোঃ রফি্ক, সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুর রব, সিরাজুল ইসলাম, সিরাজ, বাদশা, হাতাবউদ্দীন, বাদল প্রমুখ, হরুপ্র পাওয়ার হাউজের পাশ দিয়ে উত্তর দিকের গেটে অবস্থান নেন। মোঃ সেলিমকে এই অপারেশনে অংশগ্রহনের জন্য ধামগড়ের কমান্ডার নজরুল ইসলাম সগবাদ পাঠান। রফিক চেয়ারম্যানকে হামলা করার জন্য শীঘ্রইই তাদের খবর দেবার কথা ছিল। কুড়িপাড়া বাজারের রাস্তা ধরে সিদ্দিরগঞ্জ থানার গ্রুপ কমান্ডার রেহানউদ্দীন রেহানের গ্রুপের সুন্দর আলী, আব্দুল আজিজ, হযরত আলী, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল কাদের মেম্বারসহ স্টার পারটেক্সের পূর্ব দিকের গেটে অবস্থান নেন; কুড়িপাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড় দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের গ্রুপ কমান্ডার মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের গ্রুপের আলী হোসেন, আব্দুল হক, মোতাহার হোসেন, আলী আকবর, মতিউর রহমান, শামসুদ্দীন আহম্মেদ, আমিনুল হক, মোতাহের হোসেন, আলী আকবর, মতিউর রহমান, শামসুদ্দীন আহম্মেদ, আমিনুল হক, ওয়াদুদু, আব্দুল মিলিত হয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালান। ৪/৫ জন পাকআর্মিসহ রফিক চেয়ারম্যান স্পিড বোটে চড়ে পালিয়ে যায়। অপর ভাই রাজাকার মোস্তফা মুক্তিযোদ্ধা বাদলের ব্রাশ ফায়ারে মারা যায়।
পাকআর্মিরা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যায়। এ যুদ্ধে মিসিং ফায়ারিং-এ গ্রামের কিছু নিরীহ লোক মারা যায়। মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করেন।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত