কালুপুরের যুদ্ধ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
মোহদীপুর ৩ নম্বর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনা ও তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর প্রায় ৪০ জন সদস্য কাশিয়াবাড়ী ডিফেন্স থেকে ২২ আগস্ট, রবিবার (৭ ভাদ্র) রাত প্রায় সাড়ে ৩ টার দিকে হানাদার বাহিনীর ডিফেন্স বোয়ালিয় স্কুল অপারেশনে অগ্রসর হন। এই অপারেশনে দলদলী কোম্পানি কমান্ডার লেঃ রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য ট্রুপ্স কমান্ডাররা ছিলেন ইপআর হাবিলদার গিয়াসউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, আনসার পিসি সৈয়দ আঃ রাজ্জাক ও জয়নাল আবেদীন। পাক হানাদার বাহিনীর বাঙ্কার ছিল বোয়াবিয়া হাই স্কুল থেকে পশ্চিমে ঠাকুরের আমবাগান পর্যন্ত। মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসী যোদ্ধারা নিঝুম রাতের অন্ধকারে যখন পাকবাহিনীর বাঙ্কারে চড়াও হন, ওই সময়ে তারা তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর বাঙ্কারে গ্রেনেড চার্জ করেন। মুক্তিবাহিনীর এই অপারেশনে ১৫/২০ জনের মতো পাকিফৌজ হতাহত হয়। তার মধ্যে ৫/৭ জনের মতো নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা খুব দ্রুত প্রায় ১০ মিনিট কাল অপারেশন চালিয়ে কালুপুরে ফিরে আসেন। মুক্তিবাহিনী কালপুর আমবাগানে পৌঁছামাত্র প্রায় আধা ঘন্টার মধ্যেই হানাদার বাহিনী বোম্বিং করতে করতে কালপুরে অগ্রসর হয়। মুক্তিবাহিনী দ্রুত পজিশন গ্রহণ করে। শুরু হয় উভয় পক্ষে গোলাগুলি। সকল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গুলি বিনিময়ের পর পাকবাহিনী পিছু হটে ফিরে যায় বোয়ারিয়ার আর মুক্তিবাহিনী ফিরে আসে কাশিয়াবাড়ী ডিফেন্সে। সফল অপারেশন শেষে এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ক্ষয়ক্ষতির কোন ঘটনা ঘটেনি।
[৫৮৭] মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত