You dont have javascript enabled! Please enable it!

কালাপুর অভিযান, চট্টগ্রাম

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম দিকে কালারপুর পুলিশ ফাঁড়ি মুক্তিযোদ্ধারা দখল করে নিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। পাকবাহিনী পটিয়া দখল করলে মুক্তিযোদ্ধারা ফাঁড়ি ত্যাগ করেন এবং এটি পরে মুজাহিদ রাজাকার ও পুলিশ ঘাঁটিতে পরিণত হয়। অক্টোবরে ডা. শামসুর বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধারা একদিন বিকেল ৪টায় ফাঁড়ি আক্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ফকিরহাটে এসে ক্যাপ্টেন করিমের দলটি কালারপুর ফাঁড়ি, আজিজুল হকের দলটি লাখেরা বাড়ার স্টেশনের দিকে আক্রমণ চালান। ক্যাপ্টেন করিমের দলের সঙ্গে ফাঁড়িতে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। যদ্ধে শত্রুবাহিনী ১২টি রাইফেল ও ২টি স্টেনগান রেখে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে। অন্যদিকে কমান্ডার আজিজের দলটি লাখেরা স্টেশনের প্রধান ফটকে পৌঁছুলে প্রহরীদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। এই অভিযানে পাকিস্তানপন্থি সকল প্রহরী নিহত হয়। স্টেশনের ভেতরে তখন রাজাকার অবস্থান ছিল। মুক্তিযোদ্ধা স্টেশনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে রাজাকাররা ১০ টি রাইফেল ফেলে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অস্ত্রগুলো হস্তগত করেন। এই অভিযানে আজিজ গ্রুপের সঙ্গে শাহজাহান ইসলামবাদী গ্রুপ, মহসিন খান গ্রুপ ও মাহবুব গ্রুপও অংশ নেন।

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!