কামদেবপুর যুদ্ধ-১, মেহেরপুর
ভৈরব নদীর পশ্চিমে শালিখা, বুড়িপোতা, ঝাঁঝাঁ হরিরামপুর, কামদেবপুর, ইচাখালি প্রভৃতি গ্রামে প্রায় প্রতিদিনই নিয়মিত বাহিনীর সদস্যরা আসে টহল দিতে। মেহেরপুর থেকে পাকসৈন্যরা ভৈরব পেরিয়ে এই সব গ্রামে এলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণ অনিবার্য হয়ে ওঠে। মে মাসের ২৬ তারিখে নায়েক আব্দুর রউফ এবং নায়েক ফজলুর রহমান দশ জন আনসার সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে কামদেবপুরে আসেন। আগে থেকেই ঐ এলাকায় পাকসৈন্যর একটি প্লাটুন ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অবস্থা প্রস্তুত ছিল। তারা ৩ রাউন্ড ৮২ মি.মি. মর্টার শেল নিক্ষেপ করে এবং অসংখ্য গুলিবর্ষণ করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলগত দিক থেকে নিরাপদ অবস্থানে থেকে ৯ রাউন্ড ২ ইঞ্চি মর্টার শেল নিক্ষেপে সক্ষম হয় এবং প্রায় ৭০০ রাউন্ড রাইফেলের গুলিবর্ষণ করে নিজেদের কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শত্রুপক্ষের অন্তত ৫ জন সৈন্য হতাহত করে।
[১০৩] রফিকুর রশীদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত