You dont have javascript enabled! Please enable it!

কামদেবপুর যুদ্ধ-২, মেহেরপুর

২৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা রায়হান ও রবিন বেতাই থেকে শক্তিশালী দুটি গ্রেনেড নিয়ে রওনা হয় কামদেবপুরে। পাকবাহিনী এখানে বাঙ্কার তৈরি করে নিরাপদে অবস্থান করে। এই দুই সাহসী যোদ্ধা এ দিন পাক বাঙ্কার গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে পাকসেনাদের চিৎকার শোনা যায়। বেশ কয়েকজন পাকসৈন্য হতাহত হয় বলে পরে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু পরদিন সকালে কামদেবপুরে নতুন করে সৈন্য সমাবেশ ঘটানোর খবর পেয়ে হাবিলদার আব্দুর রউফের নেতৃত্বে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা এসে পাকবাঙ্কারে হামলা চালায়। ১ ঘন্টা উভয়পক্ষের গুলিবিনিময় হয়। এ দিনও ১ জন পাকসেনা নিহত এবং ২ জন আহত হয়। সাবসেক্টর অধিনায়ক এ.আ. আজম চৌধুরী নির্দেশে করমদির মোজাম্মেল হক ও মখলেসুর রহমান মাত্র দুটি গ্রেনেড হাতে করে বৃষ্টি মাথায় বেতাই থেকে চলে আসে গাংনী থানায় বামন্দী এলাকায়। সাহেবনগর এবং বামন্দী পাকসেনাদের এ দুটি ক্যাম্পের মধ্যে টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করা জরুই। তাহলেই সাহেবনগর ক্যাম্প সহজেই কব্জা করা যাবে। এই দুই যোদ্ধা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে দেবীপুর মাঠের মধ্যে থেকে টেলিফোনের তাঁর কেটে জড়িয়ে নিয়ে ঐ রাতেই বেতাই ক্যাম্পে জমা দে।
[১০৩] রফিকুর রশীদ

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!