কাথুলির যুদ্ধ-১, মেহেরপুর
মেহেরপুর সীমান্তবর্তী গ্রাম ইছাখালিতে বাঙ্কার তৈরি করে দিনের বেলা সেখানে অবস্থান গ্রহণ করে পাকসেনারা বারবার মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করার বেতাই এ্যাকশন ক্যাম্পে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয় পাকসৈন্যের বাঙ্কারে শাক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটাতে হবে। সাহসী মুক্তিযোদ্ধা রায়হানউদ্দীন আরো তিনজন সঙ্গী নিয়ে ২৭ জুন বেতাই থেকে বেরিয়ে আসতে এবং ইচাখালিতে পাকবাঙ্কারে দুটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ফিরে যায়। এদিন কাথুলি বিওপিতে অবস্থানরত পাকসৈন্যদের বিরুদ্ধে পরিচালিত এক অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাবসেক্টর অধিনায়ক এ.আর. আজম চৌধুরী নিজে। তাঁর সঙ্গে হাবিলদার মতিন পাটোয়ারী, ল্যান্স নায়েক রহমতুল্লাহ খান (সোনা) সহ ১৫ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধা দল এ যুদ্ধে অংশ নেয়। পাকসৈন্যদের ওপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করায় তারা যথেষ্ট পাল্টা হামলার সু্যোগ পায় না। এদিন কমপক্ষে তিন জন পাকসৈন্য নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়।
[১০৩] রফিকুর রশীদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত