You dont have javascript enabled! Please enable it!

কাচপুর-তারাবোর মাঝে বিশ্বরোডের ব্রিজ অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ

মিয়া মোঃ মমতাজউদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাদিপুর ইউনিয়নের আক্তারমানিক গ্রাম থেকে চেইংগার সিরাজ মেম্বেয়ার বাড়ি আসেন। সেখান থেকে ৪টিন কেরেসিন তেল নিয়ে পায়ে হেঁটে অপারেশন স্থলে পৌঁছনে। কাঠের ব্রিজের ওপর কেরেসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে সরে আসেন। পরের দিন তা দেখে আসার জন্য দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে পাঠান চেইংগাঁর থেকে শারমিন মিলে। উদ্দেশ্যে ঠিকমতো পুড়েছে কিনা তা দেখা। শারমিন মিলে ছিল পাকআর্মিদের ক্যাম্প। এজন্য মুক্তিযোদ্ধা দু’জন পরিচয়পত্র ও মাছ ধরার জাল, ডুলা সাথে নিয়ে শারমিন মিলের ভেতরে যান। হোসেন (বারদী), কাদির (পাকুন্দা) ফেরার পথে শারমিন মিল থেকে পায়ে হেঁটে কাচপুর বেবি স্ট্যান্ডে আসেন। তারা একজন পাকআর্মিকে বেবি ট্যাক্সিতে বসা অবস্থায় দেখেন। হোসেন তাকে বলেন্, আমার মা খুব অসুস্থ বাড়িতে যাব। পাকআর্মি হোসেনের কথা শুনে, ওদের ট্যাক্সির পেছনে বসার নির্দেশ দেয়। পাক আর্মির হাতে ছিল একটি রাইফেল। চেইংগার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে আসার সাথে সাথেই হোসেন গামছা দিয়ে পাকআর্মির গলা পেঁচিয়ে ধরেন, কাদিরও পাকআর্মিকে জড়িয়ে ধরেন। পাকআর্মি বাঁচার জন্য রাইফেলের ট্রিগারে চাপ দিতেই তার মাথা ভেদ করে গুলি বেরিয়ে যায়। হোসেনের হাতের তিনটি আঙুল উড়ে যায়। গুলির আওয়াজ শুনে অন্য মুক্তি্যোদ্ধারা ঘটনাস্থলে এগিয়ে যান।

[১১০] রীতা ভৌমিক

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!