কাঞ্চন এলাকার বিদ্যুৎ টাওয়ার অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ
বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ক্যাপ্টেন এ.টি.এম হায়দারের নির্দেশে আড়াইহাজার থানা কমান্ডার আবদুস সামাদ জুলাইর শেষ নাগাদ তাঁর সহযোদ্ধা সহকারী কমান্ডার মোঃ ওয়াজউদ্দীন, মোছলেউদ্দীন, শহীদুল্লাহ, দেওয়ান সাহেবসহ রাত ১০ টায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দিয়ে নৌকাযোগে বাইনদি খাল হয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন পৌঁছে। কাঞ্চনের দেওয়ান সাহেবের বাড়িতে রাতে খাওয়া-দাওয়া করে মুক্তিযোদ্ধারা স্পটে যান। গতিয়াবর এলাকায় গিয়ে দেখেন ঐ টাওয়ারটি ধ্বংস করলে এলাকাটা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। টাওয়ারটি একটি বাড়ির ওপরে এবং পাশেই একটি মসজিদ। ভেবে চিন্তে মুক্তিযোদ্ধারা টাওয়ারটি ধ্বংস না করে নৌকায় চড়ে ঘুরে ঘুরে এলাকার অন্য কয়েকটা টাওয়ার দেখে নেন। মুসুরী নামক স্থানে উঁচু টেকের ওপর টাওয়ারটি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ঐ টাওয়ারে এক্সপ্লোসিভ, ডেটোনেটর ফিট করে আগুন ধরিয়ে সরে পড়েন। মুক্তিযোদ্ধারা মাঝ নদীতে আসতেই বাস্ট হয়ে টাওয়ারটি পড়ে যায়। নদীড় দু’পাড় থেকে পাকসেনারা ঐ টাওয়ারের বাস্ট হওয়ার শব্দ লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় সেখান থেকে ফিরে আসেন।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত