You dont have javascript enabled! Please enable it!

কল্যান্দী নয়ানগর রেললাইন অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ

ডিসেম্বর সকাল ৭টায় রাজাকাররা কল্যান্দী গ্রামের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। খবর শোনামাত্র মুক্তিযোদ্ধারা ওদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসেন। মোঃ গিয়াসউদ্দিনের (নারায়ণগঞ্জ) গ্রুপ উত্তর দিকে হতে, মিলন, নুরুজ্জামানের গ্রুপের পুতুল, আমিনুর, হাতেম, ইসহাক, মোবারক, দুলু, জামাল, খাজা, আবু হোসেন, খোরশেদ আলম খসরু, বাবুল, কাজী ইসহাক, শামসুদ্দীন, কাজী ইদ্রিস, কাজী নাসির, কাজী ইসরাফিল, কাজী মোবারক, কাইক্কাটেক হতে মাঝখান দিয়ে সাহাবুদ্দীন, কুতুবউদ্দীন, সামসুদ্দীন, গিয়াস (বন্দর), মিলন, মহিউদ্দিন, দুলাল, সালাউদ্দিন তপু, কালা সোবহান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবাদি গ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে কল্যাণী, হাজীপুর, নয়ানগর এ তিন স্থানে মোঃ সেলিমের গ্রুপের মোঃ নুরুল ইসলাম, নুরুল হক, কাজী নাসিম, আলী আক্কাস, আব্দুস সালাম মৃধা, দীণ মোহাম্মদ, শাহেন শাহ্‌, মোঃ শফি উদ্দিন, দীন ইসলাম এবং মোশারফের গ্রুপসহ মোট ৫৫ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। এ যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন মোঃ গিয়াসউদ্দিন (নারায়াণগঞ্জ)। আর অস্ত্র (কামান) দিয়ে যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধারা সমবেত হয়ে কল্যান্দী গ্রামের চতুর্দিক ঘিরে ফেলে ফায়ার শুরু করলে রাজাকাররা রেললাইনের পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে পজিশন নেয়। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে ডক ইয়ার্ড থেকে পাকসেনারা এসে রেলরাস্তায় (বর্তমানে মদনগঞ্জ- নরসিংদী রাস্তা বরাবর) বাঙ্কার তৈরি করে অবস্থান নেয়। তারা বন্দর রিফ্যুজি ক্যাম্পের আট হাজার রাজাকারদের সঙ্গে মিলিত হয়ে পশ্চিম পাড় থেকে ফায়ার করে। মুক্তিযোদ্ধারা তিন দিক এক হয়ে পূর্বদিকে অবস্থান নিয়ে পাকসেনাদের সাথে যুদ্ধ করে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পাকসেনারা আকাশ পথে বিমান দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। অনেক পাকবাহিনী-রাজাকার আহত ও মারা যায়।
মুক্তিযোদ্ধা কুতুব, নুরুজ্জামান, শামসু এই যুদ্ধে আহত হন।
[১১০] রীতা ভৌমিক

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!