কাউফলা বাজার আক্রমণ, সিলেট
নবীগঞ্জ থানার সিলেটের মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক দেওয়ান ফরিদ, গাজী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রব সাদী প্রমুখের জন্য প্রথমদিকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী খুব ভালো অবস্থান করতে পারেনি। পরবর্তীতে মাওলানা আবু মোহাম্মদ ইসমাইল, কাজী রাজা মিয়া প্রমুখ দালালদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালায়। কাউফলা বাজারে রাজাকারদের একটি শক্ত ঘাঁটি ছিল। ৪ নম্বর সেক্টরের কমলপুর সাব সেক্টরের ক্যাপ্টেন সাজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে নভেম্বর শেষ দিএ নবীগঞ্জ অপারেশন করার জন্য এক কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা রওনা হয়। রাস্তায় খেজুরিছড়া ও রাধানগর গ্রামে এক একদিন করে কাটিয়ে শ্রীমঙ্গল বন বিভাগের অফিসের কাছে পাক বাহিনীর একটি টহলদার বাহিনীর মুখোমুখি হলে, এখান থেকে পিছু হটে একটি গ্রাম এক রাত যাপন শেষে আখাউড়া-সিলেট রেলপথ অতিক্রম করে। এসময় পাহাড়ের ভেতরে অবস্থানরত মূল গ্রুপ থেকে ৪০/৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ কোম্পানি কমান্ডার অন্যত্র চলে যান।
মূল দলটির আর কখনো কোনো সন্ধান পাননি তারা। এসময় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুলাউড়ার কৃষক ও কমিউনিস্ট নেতা সুশীল চন্দ্র দেব। তার নেতৃত্ব মুক্তিযোদ্ধারা কাউফলা বাজার রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ করে। রাজাকাররা পালিয়ে যাবার সময় একজন মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।
[৬৩] মাহফুজুর রহমান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত