কাকড়াগাড়ী ব্রীজের যুদ্ধ, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার ভরতখালী স্টেশন সংলগ্ন এই ব্রীজের কাছাকাছি সরকারি পাটগুদাম ছিল। পাকিস্তানী সরকার যে এই পাট থেকে কোন অর্থ না পায় সেই উদ্দেশ্যে ঐ পাটগুদামে অগ্নিসংযোগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গুদামে তখন প্রায় ৬/৭ শত বেল পাট ছিল। রোস্তম আলী খন্দকারের নেতৃত্বে মুক্তিযদ্ধাদল তিনভাগে বিভক্ত হয়ে একটি দল ব্রীজের কাছাকাছি এবং অপর ১টি দল ভরতখালী হাইস্কুলের কাছে পজিশন নেয়। তৃতীয় দলটিকে গুদামে আগুন দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। তৃতীয় দলটি গুদামে আগুন দিলে ব্রীজে পাহারারত রাজাকারেরা গুদামে দিকে অগ্রসর হয়। তখন ব্রীজের কাছাকাছি অবস্থানকারী মুক্তিযোদ্ধা দলটি রাজাকার বাহিনী প্রতি গুলি বর্ষণ করে। তারাও পাল্টা গুলি বর্ষণ প্রায় এক ঘন্টা গোলাগুলি চলে। এরইমধ্যে পাটের গুদাম ভস্মীভূত হলে মুক্তিবাহিনী ঐ স্থান ত্যাগ করে।
[৫৮০] ড. মোঃ মাহবুবর রহমান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত