এ.এ.কে. নিয়াজী, লে. জে.
পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজি ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে খ অঞ্চলের (পূর্ব পাকিস্তান) সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের স্থলভিষিক্ত হন।
টিক্কা খানের পর মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন বাঙালীর নিধন প্রক্রিয়া ও ধ্বংসযজ্ঞ হলে তা জেনারেল নিয়াজীর নির্দেশেই পরিচালিত হতো। ইতিমধ্যে মুক্তিবাহিনী সুসংগঠিত হতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে। এদিকে পাকিস্তান ভারতের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ডিসেম্বর মাসে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী মিলে মিত্রবাহিনী গঠন করে নিয়াজির হানাদার বাহিনীর আক্রমণ করে।
দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ চলার পরে অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বিকালে ৪.২১ মিনিটে পাকহানাদার বাহিনীর ইস্টার্ন সহযোগী সৈন্য নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশ ও ভারতের সম্মিলিত মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সেনাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এভাবে দীর্ঘ ন’মাসের যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হয় এবং বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’।
[৩১৪] হাবিবা ইসলাম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত