ইয়াকুব মালিক, লে. কর্নেল (পিএ-৩৮৩৭)
স্থানঃ কুমিল্লা। পদঃ ৫৩ নম্বর গোলান্দাজ বাহিনীর প্রধান। অপরাধঃ ২৩ এফএফ ও ২২ বেলুচর সমন্বয়ে ৫৩ ব্রিগেড কুমিল্লা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে ছিল। ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চের মধ্যে সে কুমিল্লা ব্রিগেড হেড কোয়ার্টাআরে প্রায় ৩০০ বাঙালী সৈন্যকে অস্ত্রহীন করে আটকে রাখে। এর বাহিরেও ১৬০০ বেসামরিক লোককে আটক করে। ৩০ মার্চ বন্দীদের ১৫ ও ২০ জনের গ্রুপ ভাগ করে বাইরে এনে গুলি করে হত্যা করে। ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট হত্যাকাণ্ডসহ কুমিল্লার গণহত্যাসমূহ পরিচালিত হয় তারই নেতৃত্বে
লে. কর্নেল মনসুরুল হক হামুদুর রহমান কমিশনের নিকট এক সাক্ষ্যে জানায়, ইয়াকুব মালিকের অঙ্গুলি হেলনে ১৭ জন বাঙালী অফিসারসহ ৯১৫ জন মানুষকে জবাই করে হত্যা করা হয়। সালদা নদী অঞ্চলে আরও ৫০০ লোককে হত্যা করা হয়েছিল। এ ছাড়াও গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরগুলোতে ঝাটিকা অভিযানে সে নির্দয়ভাবে ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ও হত্যা চালিয়ে গেছে।
সাক্ষীঃ তৎকালীন সেনানিবাসে কর্মরত রমণীমোহ্ন শীল ও গোলান্দাজ বাহিনীর তরুণ বাঙালী অফিসার লে. ইমামুজ্জামান কুমিল্লা সেনানিবাসে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী। লে. কর্নেল ইয়াকুব মালিক ও তার সহযোগীদের কুমিল্লা অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা যায়।
[১৪] ডা. এম. এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত