ঈদগাঁও সেতুর দ্বিতীয় অভিযান, কক্সবাজার
দক্ষিণে টেকনাফ ও উত্তরে চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজারকে যুক্ত করেছে এমন সংযোগ সড়কের উপর অবস্থিত ঈদগাঁও সেতু। ২৩ নভেম্বর রাত ২ টায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা দলকে ৭ ভাগে ভাগ করা হয়। কমান্ড গ্রুপের নেতৃত্বে হাবিলদার সোবহান ঈদগাহের খালের দক্ষিণে অবস্থান নেন, হাবিলদার জলিলের ২য় গ্রুপ রাস্তার পূর্ব পাশে অবস্থান নেন। ৩য় ও ৪র্থ ও ৫ম দল এ্যাকশন গ্রুপ। এরা নায়েক ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে দক্ষিণ দিকে, নায়েক আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে উত্তর পশ্চিম মুখে, নায়েক আবদুস সোবহানের নেতৃত্ব অন্য গ্রুপ হামলা করে তল্লাশি করবে। অন্য গ্রুপ ল্যান্স নায়েক ছায়েদুলের নেতৃত্বে উঁচু ভূমিতে অবস্থান নেন পর্যবেক্ষণের জন্য। রাত ২টা বাজার সাথে সাথে কমান্ডার গ্রুপের সাথে এ্যাকশন গ্রুপ গুলিবর্ষণ শুরু করে। শত্রুর দিক থেকেও পাল্টা গুলিবর্ষণ করতে থাকে। অবশেষে সার্চ গ্রুপ ভেতর ঢুকে ৬/৭ জন রাজাকার ও পুলিশকে আটক করে, মোট যুদ্ধবন্ধি হয় ১২ জন। হস্তগত হয় ৭টি রাইফেল ও ৩০০ রাউন্ড গুলি। রাজাকার উচ্ছেদ এই অভিযান সফল হয়।
[৫৯৭] কে. এম. আহসান কবীর
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত