You dont have javascript enabled! Please enable it!

ঈশ্বরদী বিমানবন্দর যুদ্ধ, পাবনা

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার ব্যস্ততম বিমান বন্দর হলো ঈশ্বরদী। ঈশ্বরদী বিমান বন্দর উত্তরাঞ্চলের সব এলাকার সাথে যোগাযোগের জন্য সহজতর প্রবেশ হওয়ায় হানাদার পাকসেনাদের কাছে ঈশ্বরদী ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই ২৬ মার্চ রাতে ঈশ্বরদী সংগ্রাম পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। ঐ রাতেই বিমান বন্দরে পাকবাহিনীর অবস্থান, অস্ত্র, লোকবল, গোলাবারুদ যানবাহনসহ বিভিন্ন বিষয়ে রেকি করা হয় এবং বিমানবন্দরের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্মচারীদের সহায়তায় ২৭ মার্চ ১৯৭১ ভোর থেকে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর দখল নেওয়ার জন্য স্বাধীনতাকামী, জনতাকে আহবান করা হয়। দুপুর ১২ টার মধ্যে উল্লেখিত ছাত্র জনতাকে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্য ঈশ্বরদী পুরাতন বাস স্ট্যান্ড জমায়েত হয়। সংগ্রাম পরিষদের যুদ্ধের পরিকল্পনা অনুযায়ী সংগ্রহিত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দর অফিসের উত্তরদিকে পাকবাহিনীর সশস্ত্র সেনাদের প্রায় ২০০ গজের মধ্যে চতুর্দিক থেকে অবরোধ করে এবং মাইকে পাকবাহিনীকে আত্মসমর্পণ করার আহবান জানানো হয়। লোকজনের দৃঢ়তা দেখে পাকবাহিনীর ১১ সদস্য সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র ওয়ারলেসসেট ও যানবাহনসহ সংগ্রাম পরিষদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই অভিযানে উভয়পক্ষের হতাহত হওয়ার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।
[৫৯৭] চাঁদ সুলতানা কাওছার

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!