You dont have javascript enabled! Please enable it!

ইনডাকশন পদ্ধতিতে গেরিলা যুদ্ধ
[অংশগ্রহণকারীর বিবরণ]

একপর্যায়ে সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল সেক্টর হেডকোয়ার্টারের আর্মি অফিসারদের নিয়ে আলোচনাস্তে সিদ্ধান্ত নিলেন যে ট্রেনিংপ্রাপ্ত ছেলেরা ট্রেনিং শেষে ফিরে এলে তাদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে গ্রুপে গ্রুপে বাংলাদেশের মধ্যে ৯ নং সেক্টরভুক্ত এলাকায় যুদ্ধ চালানোর জন্য পাঠানো হবে, যাতে দেশের ভেতরে অবস্থান করে গেরিলা পদ্ধতিতে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ওদের পর্যুদস্ত করে স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করা যায়। এদের অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করতে মিত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের ক্যান্টনমেন্টে ‘চার্লি সেক্টর’ নামে ৯ নং সেক্টরের সব বিষয়ে সহায়তাকারী সেক্টর হিসেবে স্থাপিত হলো। ঐ চার্লি সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন ভারতীয় বাহিনীর খ্রিস্টান এক অফিসার ব্রিগেডিয়ার সালেহ। তার কাজে সহায়তার জন্য কর্নেল মুখার্জী ও মেজর সরকারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে একটা লম্বা দোতলা দালানে চার্লি সেক্টরের হেডকোয়ার্টার স্থাপিত হলো। ৯ নং সেক্টরের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র, গোলাবারুদ সেক্টর হেডকোয়ার্টারের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রতি সপ্তাহে রেশনসহ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশে প্রবেশের সময় হাত খরচ হিসী প্রয়োজনীয় পাকিস্তানী মুদ্রা সরবরাহ করা হতো ও চার্লি সেক্টর থেকে। বিহার থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্তদের ‘এফএএফ’ নামে অতিহিত অতিহিত করা হয়। ৯নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত এলাকার এফএফরা নিজ নিজ এলাকায় ইনডাকটেড হয়ে সমন্বিতভাবে গেরিলা যুদ্ধ করবে- এই সিদ্ধান্তে প্রতিদিন রাতে দলে দলে এফএফদের এই পদ্ধতিতে সমগ্র ৯ নং সেক্টর এলাকায় প্রেরণ চলতে লাগলো। ৯ নং সেক্টরের মূল যোদ্ধা হিসেবে এসব এফএফরা অসম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর আগেই ৯ নং সেক্টরের প্রায় এলাকাই শত্রুমুক্ত করে।
[৩৬] ওবায়দুর রহমান মোস্তফা

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!