You dont have javascript enabled! Please enable it!

ইফতেখার খান, মেজর

কিশোরগঞ্জ অপরাধঃ ১৯৭১ সনের জুলাই মাসের শেষ দিকে মেজর ইফতেখার কিশোরগঞ্জে আসে। প্রতিদিন ত্রিশ, চল্লিশ, পঞ্চাশ এমনকি আরও বেশি লোক ধরে এনে সে হত্যা করতে থাকে। এঁদের অধিকাংশই ছিলেন হিন্দু। তাঁরা শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। অনেকে প্রাণভয়ে মুসলমান হতেও শুরু করে।
ইফতেখার শান্তি কমিটির মাধ্যমে নির্দেশ দেয় যে, কোন লোককে হয়রানি করা হবে না এবং সামরিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কাউকে ধর্মান্তরিত করা যাবে না। আর হিন্দুদের ধুতি পরে থাকতে হবে। তার কপটতায় বিশ্বাস করে হত্যাযজ্ঞের প্রথম বলি হন বাবু গিরিজা মোহন চক্রবর্তী। অতঃপর খগেন্দ্রনাথ লোহ, মেইল রানার হরিমোহন, আইন ব্যবসায়ী আশ্বিনী বাবুর দুই সন্তান প্রবীর ও সুধীর, পাকুন্দিয়া থানার মেডিক্যাল অফিসার, একজন হিন্দু ভদ্রলোক দুই ছেলেসহ নিহত হন নরপিচাশ ইফতেখারের হাতে। তাঁর তিন মেয়েকে ধরে এনেছিল মেজর ইফতেখার। তাঁদের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ক্ষেত্রেমোহন মন্ডল, তাঁর বড় ভাই, ভাইপো, জামাইরা কেউ বাঁচতে পারেননি ঘাতক ইফতেখারের হাত থেকে। সে সেখানকার নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে তাঁদেরকে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের পশ্চিমা হানাদার, কুখ্যাত রাজাকার, মুজাহিদ, আলবদর বাহিনীর কমান্ডার এবং স্বঘোষিত অফিসার ইনচার্জদের নিকট পাঠিয়ে দিত।
মেজর ইফতেখার ও তাঁর সহযোগীদেরকে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা যায়।

[১৪] ডা.এম.এ. হাসান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!