আলফাডাঙ্গা থানা আক্রমণ, ফরিদপুর
কালিমাঝির আবদুল জলিল বিশ্বাস (সেনাবাহিনীর হাবিলদার), কালিনগরের কলেজ ছাত্র হেমায়েত হোসেন হিমু ও ইদ্রিস নগরকান্দার গ্রুপ ও কমান্ডার আলতাফ হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা আক্রমণের প্রস্তাব করেন। তাদের এ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ৩০ জুন’ ৭১ আলফাডাঙ্গা থানা আক্রমণ করা হয়। নগরকান্দা থেকে আলতাফ হোসেন খান নেতৃত্ব ১৫ জন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা এবং বোয়ালমারী থানার কাটাগর ও কালিমাঝির ১০ জন যুবক ঐ অপারেশনে অংশগ্রহণ করে। কাটাগর থেকে সন্ধ্যায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা আলফাডাঙ্গায় যায়। গভীর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে বটগাছের দু’দিকে দুই দল এবং বটগাছের পেছনে এলএমজিসহ এক গ্রুপ অবস্থান গ্রহণ করে। এর আগে আলফাডাঙ্গা কাশিয়ানির মধ্যকার ফোনের তার কেটে দেয়া হয়। প্রথম আলতাফ স্টেন দিয়ে ব্রাশফায়ার করে। এতে পুলিশ ও রাজাকাররা হতচকিত হয়ে যায়। অনেকেই পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা বাঁ পায়ে বুলেটবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়লে অবশিষ্ট্রা ‘সারেন্ডার সারেন্ডার’ বলে চিৎকার করে। তখন তাদের খালি হাতে বেরিয়ে আস্তে বলা হয়। থানা থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করার পর থানার কর্মকর্তা ও সিপাইদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান গ্রহণের অঙ্গীকার করিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল ৩২ টি রাইফেল, দুটি রিভলবার ও প্রচুর পরিমাণ গুলি।
[১৫] আবু সাঈদ খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত