আজিজুল হক কলেজ (পুরাতন) আক্রমণ, বগুড়া
পুরাতন আজিজুল হক কলেজটি বগুড়া শহরের সাতমাখা থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। পাকবাহিনী এই কলেজ এবং মহিলা কলেজে বিশাল ক্যাম্প স্থান করেছিল। মুক্তিবাহিনী প্রথম থেকেই এই ক্যাম্পের আশপাশে ছোট ছোট অভিযান পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু যুদ্ধের শেষের দিকে মিত্রবাহিনী মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দিলে মুক্তিবাহিনীর মনোবল আরো বৃদ্ধি পায়। তারা মিত্রবাহিনীর সহায়তায় নভেম্বর মাসের শেষদিকে এই ক্যাম্প আক্রমণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণের উদ্দেশ্যে রাজাপুর ও সাপগ্রাম নামক দুটি স্থানে অবস্থান গ্রহণ করে এবং মিত্র বিমানবাহিনী লক্ষ্যবস্তুতে গোলাবর্ষণ শুরু করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী যৌথবাহিনী লক্ষ্যবস্তুতে গোলাবর্ষণ শুরু করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী যৌথবাহিনী ট্যাঙ্কসহ করতোয়া নদী পার হয়ে আজিজুল হক কলেজ ও মহিলা কলেজে অবস্থানরত পাকসেনাদের উপর আক্রমণ করে। আক্রমণে পাকবাহিনী সম্পূর্ণরূপে পর্যুদস্ত হয়। মিত্র বাহিনীর গোলাবর্ষণে আজিজুল হক কলেজের পাশ্ব্স্থিত এতিমখানার একটি বিল্ডিং ধসে পড়ে এবং পাকবাহিনী প্রচুর সৈন্য প্রাণ হারায়। এছাড়া আক্রমণে যৌথবাহিনীর ২ জন কমান্ডার এবং প্রায় ১৬ জন পাকসেনাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়া মুক্তিবাহিনী উক্ত ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্কম হয়। তবে মুক্তিবাহিনীর কারো হতাহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
[৫৯৭] চাঁদ সুলতানা কাওসা্ন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত