You dont have javascript enabled! Please enable it!

আঞ্জু, ক্যাপ্টেন ও
মোহাম্মদ সিদ্দিকী, মেজর (২০৫ ইনফ্যান্ট্রি, পিটিসি-৩০১৬)
আলাউদ্দিন, হাবিলদার
সুফি, সুবেদার

স্থানঃ ময়মনসিংহ। অপরাধঃ উপরোক্ত অফিসারদের নেতৃত্ব পাকিস্তানী বাহিনী জেলা শহর ও শহরতলিসহ ৭টি থানায় ব্যাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। কালীবাড়ির পাশের পুকুরে সহস্রধিক নরকঙ্কাল পাওয়া যায়। ময়মনসিংহ ডাকবাংলা, নিউমার্কেট, কেওয়াটখালী রেলওয়ে কলোনি ও নদীর ধারে সহস্রাধিক লোককে হত্যা করে। উপরিউক্ত পাঁচ অফিসার ময়মনসিংহ শহর ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের নেতৃত্ব দিত। আমীর আহম্মেদ চৌধুরী জানান, তিনি যখন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পে পাকবাহিনী কর্তৃক বন্দি হন তখন ব্রিগেডিয়ার কাদিরের নির্দেশ ক্যাপ্টেন আঞ্জু ও মেজর সিদ্দিকী তাঁর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। তারা ক্যাম্পে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানা বয়সী মেয়েদের ধরে আনত। দিনের পর দিন আটকে রেখে তাঁদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাত।
সাক্ষীঃ আমীর আহম্মেদ চৌধুরী।
ক্যাপ্টেন আঞ্জু, মেজ সিদ্দিকী, হাবিলদার আলাউদ্দিন, সুবেদার সুফি ও তাদের সহযোগীদেরকে গণহত্যা, যুদ্ধপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা যায়।
[১৪] ডা.এম.এ হাসান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!