আক্কেলপুর শহরে দখল, জয়পুরহাট
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বিভিন্ন শহর পাক হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত করার উৎসব শুরু হয়ে যায়। জয়পুরহাট জেলার যুদ্ধরত মুক্তিবাহিনীও পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শহর-বাজার দখল করতে থাকে। মিত্রবাহিনীর আক্রমণের ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অধিক সংখ্যক পাকিস্তানী সেনা ক্যাম্পের পতন ঘটতে থাকে। কিন্তু আক্কেলপুর শহর থেকে পাকিস্তানী সেনা ক্যাম্প পতন ঘটতে থাকে। কিন্তু আক্কেলপুর শহর থেকে পাকিস্তানী সেনা ক্যাম্প উচ্ছেদ না হওয়ায় ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চতুর্মুখী আক্রমণের মাধ্যমে আক্কেলপুর শহরটি দখল করে শত্রুমুক্ত করে। লক্ষ্যবস্তু হিসেবে রেলস্টেশন ও থানাকে নির্বাচন করা হয়। তবে আক্রমণের প্রথমেই আক্কেলপুর শহরের দক্ষিণে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশনটি দখল করা হয়। রেলস্টেশন দখলের পর শহরের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর দিক থেকে মুক্তিবাহিনী আক্রমণ পরিচালনা করলে পাকিস্তানী সেনা ও রাজাকার বাহিনী প্রথমে আক্কেলপুর থানায় জড়ো হতে থাকে। মুক্তিপাগল যোদ্ধাদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে পাকসেনা ও রাজাকাররা গোপীনাথপুরের দিকে পালাতে শুরু করে। থানা দখলের পর মুক্তবাহিনী আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ শহরটিকে আয়ত্তে আনে। এ যুদ্ধে ৭ জন রাজাকার মুক্তিবাহিনীর হাতে আটক হয়। ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও অন্য ১ জন আহত হয়। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর তারিখে আক্কেলপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়
[৫৬] সংকলন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত