আজমীরীগঞ্জ থানা মুক্ত, হবিগঞ্জ
১৬ নভেম্বর বদলপুরের সম্মুখযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি শহীদ হলে পাকিস্তানী বাহিনী তাঁর মরদেহে বর্বরোচিত অত্যাচার করে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের ঘৃণা পাকিস্তানী বাহিনীদের প্রতি আরো বেড়ে যায়। বিষয়টি তারা উপলব্ধি করতে পেরে আজমীরীগঞ্জ ছেড়ে মৌলভীবাজার চলে আসে। জগৎজ্যোতির মৃত্যুতে মুক্তিযোদ্ধা শফিক চৌধুরী, দাস গ্রুপের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই সুযোগ আলী রেজা তার রাজাকার বাহিনী নিয়ে আজমিরী গঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আরো শক্ত ঘাঁটি করে বসে। ১৫ ডিসেম্বর ১৪০ জন মুক্তিবাহিনীর একটি দলের নেতৃত্ব দিয়ে ফজলুল রহমান চৌধুরী বানিয়াচাংয়ের বিথঙ্গল থেকে কালাইলচাও আসেন। একই দিন মজনুর রহমান চৌধুরী আজমীরীগঞ্জ আসেন। এসময় নূরুল হক ভূঁইয়া তাঁর দলসহ কাকাইলচাও ছিলেন। কাকাইলচাওয়ের আবদুল কাদির (সৌলরী), গোলাম নবী (সৌলরী), আবদুর রউফ (শিবপাশা), মারফত উল্লাহ (আজমীরীরগঞ্জ) সহ প্রায় ৩৫/৪০ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। রাতে শান্তি কমিটির সেক্রেটারি আলী তার দলসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রেডিওতে বিজয়ের ঘোষণা শোনার পর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। স্থানীয় প্রশাসন জাহিদ উদ্দিন দারোগা, নূরুল হক ভূঁইয়া, হাফিজ উদ্দিন, ফজলুল রহমান চৌধুরী, মজন্র রহমান চৌধুরী প্রমুখ পরিচালনা করেন, হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা বিভিন্ন তারিখে মুক্ত হলেও ৭ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন করা হয়।
[৬৩।] মাহফুজুর রহমান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত