You dont have javascript enabled! Please enable it!

অপারেশন জ্যকপট

১৯৭৮ সালের ৮ মার্চ ফিল্ড মার্শাল মানকশ SHFJ লে. জেনারেল JFR জ্যাকবের নিকট ১৯৭১ সালের যুদ্ধ পরিকল্পনার বিশ্লেষণ চেয়ে একটি প্রশ্নপত্র পাঠান। ২ নং প্রশ্নটি ছিল, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নৌ-বাহিনী পরিকল্পনা এবং ব্যবহার সঠিক ছিল কি না?’ লে. জেনারেল জ্যাকব-এর জবাব ছিল অনুরূপ- The operational consideration in the planning of the war in 1971 with respect to the emphasis in training in operation Jackpot was one quantity rather than quality. মি. জ্যাকব-এর ভাষায় সুষ্পষ্টত যে, যুদ্ধক্ষেত্রে স্বল্প প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাদাগাদা যোদ্ধার তুলনায় সুপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম সংখ্যক যোদ্ধার নিকট থেকে ভালো ফল আশা করা যায়। ১৫ আগষ্ট ৭১, নৌ-কমাণ্ডো কর্তৃক বাংলাদেশের জলসীমায় একই সময়ে ২৬ টি জাহাজ ও গানবোট ডোবানোর পর কেবল শত্রু বাহিনী আশ্চর্যান্বিত হয়নি, সারা বিশ্ব চমকিত হয়ে ওঠে। পৃথিবীর বহুল প্রচলিত, খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদপত্র এবং প্রচার মাধ্যমে নৌ-কমাণ্ডোদের পরবর্তী সময়ের অভিযানগুলোও ছিল অনুরূপ দুঃসাহসিক। ফলে দেশী-বিদেশী সংবাদপত্র ও প্রচার মাধ্যমেও কেবল নৌ-কমাণ্ডোদের দ্বারা পরিচালিত অভিযানকে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ বলে উল্লেখ করা হয়। ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসে প্রথম সমন্বিত নৌ-কমাণ্ডো অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যুদ্ধ পরিকল্পনাবিদগণ অধিক সাফল্য অর্জন, গোপনীয়তা রক্ষা এবং দক্ষ কমাণ্ডোর অপ্রতুলতার কারণে প্রথম অভিযান পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা দুটি সমুদ্র বন্দর এবং নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর নদী বন্দরকে নির্দিষ্ট করেন। এই সমন্বিত অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ হিসেবে সুপরিচিত।
[৪৫] কমাণ্ডো মোঃ খলিলুর রহমান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!