চেঁচুড়ি গণহত্যা (জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯৭১)
চেঁচুড়ি গ্রামটি ডুমুরিয়া থানার ১ নম্বর ধামালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। এই এলাকার রাজাকাররা ধারাবাহিকভাবে গণহত্যায় লিপ্ত ছিল। চেঁচুড়ি গ্রামের মোকছেদ গোলদার নামক একজন তরুণ ছিলেন তাদের এই নির্মমতার শিকার। রাজাকাররা তাঁকে প্রথমে বেদম প্রহার করে। এরপর বেলা একটার দিকে (জুলাই-আগস্ট মাসে) তাঁকে গুলি করে ফেলে রেখে যায়। অব্যাহত রক্তক্ষরণে বেলা তিনটার দিকে তিনি মারা যান। ঘরে তাঁর তখন সদ্যবিবাহিতা অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।২০৯
এছাড়া স্থানীয় নেহালপুর রাজাকার ক্যাম্পের আহ্বানে পাকিস্তানি সেনারা স্থানীয় কপালিয়া বাজারে এলে (জুলাই-আগস্ট মাসে) মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তাদের গোলাগুলি হয়। তীব্র গোলাগুলির মধ্য থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাবার সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে চেঁচুড়ি গ্রামের সাধু ও মতিন নামক দুই ব্যক্তি মারা যান।২১০
……………………………………………………
২০৯. সাক্ষাৎকার, ইদ্রিস গোলদার (চেঁচুড়ি, ডুমুরিয়া) ও কুদ্দুস গোলদার (চেঁচুড়ি, ডুমুরিয়া), ২১ ডিসেম্বর ২০০৫৷
২১০. তদেব।
……………………………………………………
সূত্র: একাত্তরে খুলনা মানবিক বিপর্যয়ের ইতিহাস- দিব্যদ্যুতি সরকার