চরেরহাট গণহত্যা (৮ মে ১৯৭১)
খুলনা শহর এলাকার অন্যতম বৃহৎ গণহত্যা হলো চরেরহাট গণহত্যা। চরেরহাট স্থানটি খুলনার খালিশপুরে ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে দুই দিক থেকে মধুমতি ও চিত্রা নদী এসে ভৈরবের সাথে মিলিত হয়ে ত্রিমোহনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানটি খালিশপুর হাই স্কুল এবং নৌবাহিনীর সদর দফতর সংলগ্ন। অনতিদূরেই রয়েছে নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিল। নদীর পূর্ব পাড়ে শোলপুর ও যুগীহাটি গ্রাম৷
চরের হাট গণহত্যার পটভূমি
১৯৭১ সালের ৫ মে তারিখে নয় নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল দুইটি লঞ্চ ভর্তি অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে সাতক্ষীরা সীমান্তে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। পথে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা পাতাখালি নামক স্থানে গভীর রাত্রে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক আকস্মিকভাবে আক্রান্ত হন। এই আক্রমণে মেজর এম এ জলিল অস্ত্রভর্তি লঞ্চ দুটি হারান।১০৩ কিন্তু এর ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রবল ও আক্রমণের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে প্রত্যক্ষভাবে ওয়াকিবহাল হয়। এই ঘটনার পর থেকে খুলনা শহর অভিমুখী স্থল ও জলপথের যানবাহনে ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই সতর্ক প্রহরা এবং প্রতিহিংসার পটভূমিতে চরেরহাট গণহত্যা সংঘটিত হয়।
গণহত্যার ঘটনার বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সময় নড়াইলের রঘুনাথপুর থেকে খুলনায় যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করতো। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই লঞ্চ চলাচল কিছুদিন বন্ধ ছিল। এভাবে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ৭ মে থেকে এই রুটে আবার লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।১০৪ ৮ মে রঘুনাথপুর থেকে পরপর দুটি লঞ্চ খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বেলা আনুমানিক এগারোটার দিকে লঞ্চ দুটি চরেরহাটের কাছাকাছি পৌঁছায়। এই সময়ে আকাশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি টহল বিমান বেশ নিচু হয়ে লঞ্চ দুটির ওপর দিয়ে কয়েকটি চক্কর দেয়। এর ফলে লঞ্চের যাত্রীরা স্বভাবতই কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এমন সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর টহলরত দুটি গানবোট লঞ্চ দুটির গতিরোধ করে এবং সারেংকে লঞ্চ নোঙর করতে আদেশ দেয়। লঞ্চ দুটি একে একে চরেরহাটে একটি মাছ কোম্পানির জেটিতে নোঙর করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এই ধরনের তল্লাশি ছিল স্বাভাবিক ও প্রায় নিত্যদিনের ব্যাপার। এজন্য লঞ্চের সারেং এবং যাত্রীরা কিছুটা উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকলেও মৃত্যু যে সন্নিকটে তা তারা বুঝতে পারেননি। বিশেষত খুলনার তৎকালীন মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়ুব হোসেন সপরিবারে একটি লঞ্চের যাত্রী হিসেবে থাকায় অন্যান্য যাত্রীরা এই তল্লাশিতে খুব বেশি আতঙ্কিত হননি।১০৫ পাকিস্তানি সেনারা লঞ্চের সমস্ত যাত্রীকে জেটির পাশে নদীর তীরে নেমে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হুকুম দেয়। অ্যাডভোকেট আয়ুব হোসেন সামনে এগিয়ে এসে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে নিজেকে মুসলিম লীগ খুলনা শাখার সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় দেন এবং ইংরেজি ও উর্দুতে তাদের সাথে কথা বলতে থাকেন। তিনি তাদের বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, লঞ্চের যাত্রীরা শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ, পরিবার পরিজন নিয়ে শহরে যাচ্ছেন—মুক্তিবাহিনী এভাবে সপরিবারে প্রকাশ্য দিবালোকে চলাচল করে না ইত্যাদি।১০৬ কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়; কোনোভাবেই তখন পাকিস্তানি সেনাদের নিরস্ত করা সম্ভব হয়নি। লঞ্চের যাত্রীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে তারা গুলি করতে শুরু করে। এই গণহত্যার স্মৃতিচারণ করেছেন আয়ুব হোসেনের শ্যালক অ্যাডভোকেট অর্পণউজ্জামান খান। তিনি বলেন:
পিছমোড়া করে বাঁধা হলো সবার, একটু দূরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হলো বিনা বাক্যব্যয়ে। পূর্ববর্তী দুটি লঞ্চে১০৭ আর আপারা যে লঞ্চে ছিল সব মিলিয়ে ১২০ বা ৩০ জন হতে পারে। ২০/৩০ জন করে একেক সারিতে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করা হলো। প্রথমে সবার মাথা সোজাসুজি আড়াআড়িভাবে গরম শীসাগুলো ছুটল; পরে বুকের উপর দিয়ে ছুটল একইভাবে, তৃতীয়ত হাঁটুর উপর দিয়ে বয়ে গেল সব শেষ ঝড়টি; হাঁটুভেঙে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন সবাই। কেউ বাঁচল না। ভেজা চরের বালি রক্তে লাল হয়ে গেল।১০৮
এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েও অ্যাডভোকেট আয়ুব হোসেন বেঁচে ছিলেন। আহত অবস্থায় তিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তাঁর রাজনৈতিক সহযাত্রী আমজাদ হোসেনের (খুলনার বাসিন্দা) নিকট তাঁর সুচিকিৎসার জন্য মিনতি করে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা করার সময় আর তিনি পাননি; ঐ দিন সন্ধ্যায়ই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বেশকিছু লঞ্চ যাত্রীকে খানসেনারা খালিশপুর হাই স্কুলের পিছনে নিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করেছিল।১০৯
আয়ুব হোসেনের মৃত্যু খুলনার মুক্তিযুদ্ধের মানবিক বিপর্যয়ের একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। কারণ, তিনি আওয়ামী লীগ বা সমমনা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি নিজ রাজনৈতিক অবস্থানও ত্যাগ করেননি। মৃত্যুর পূর্বে তিনি বারবার নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাতে মোটেই কর্ণপাত করেনি। আয়ুব হোসেনের পিতা এস এম হাতেম আহমেদ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, তিনিও লঞ্চের যাত্রী ছিলেন। লঞ্চের অপর একজন যাত্রী ছিলেন নড়াইল থানার তৎকালীন ওসি। এই দুইজনই উর্দুতে বারংবার নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন। বহু বৃদ্ধ মানুষও কলেমা পড়ে অথবা কোরান-হাদিস থেকে তেলাওয়াত করে পাকিস্তানি সেনাদের শুনিয়েছিলেন।১১০ সম্ভবত, তাদের ধারণা ছিল নিজেদের মুসলমানিত্বের প্রমাণ দিতে পারলে পাকিস্তানি সেনারা তাদের কিছু করবে না। কিন্তু এ সবই ছিল বৃথা। পাকিস্তানি ঘাতকেরা নির্বিচারে সকলকেই হত্যা করে।
মুসলিম লীগের একজন আঞ্চলিক নেতা, একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা এবং ‘মুসলমান’ পরিচয়দানকারী বেশকিছু বয়স্ক ব্যক্তির এই মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার একটি ভিন্ন প্রকৃতি দেখা যায়। এর কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। এক. পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই আশঙ্কা ছিল যে কিছু কিছু মুসলিম লীগের কর্মীও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে বহুসংখ্যক পুলিশ মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েছিল। ফলে পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় দান এক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাদের নিবৃত্ত করতে পারেনি। দুই. সুন্দরবনের পথে মেজর জলিলের অস্ত্রসহ প্রবেশের চেষ্টা ছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা এবং সেনাদের একটি ব্যর্থতা। চরেরহাটে এই গণহত্যা ঘটানোর মাধ্যমে তারা তাদের পূর্ববর্তী ব্যর্থতাকে আড়াল করার চেষ্টা করে থাকতে পারে। তিন. লঞ্চে মুক্তিবাহিনী খুলনায় প্রবেশ করছে, এই মর্মে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাওয়া কোনো গোয়েন্দা মেসেজ ও হত্যার নির্দেশ তাদের এই গণহত্যা সংঘঠনে প্ররোচিত করতে পারে।১১১
এই গণহত্যায় কত মানুষ মারা গিয়েছিল সেটি স্পষ্টভাবে জানা যায় না। পূর্বে উল্লিখিত অর্পণউজ্জামান খানের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে সারিবদ্ধভাবে গুলি করার জন্য যাদের দাঁড় করানো হয়েছিল তাদের সংখ্যা ১২০ বা ১৩০ হতে পারে। তিনি নদীর তীরে যাদের দাঁড় করানো হয়েছিল, তাদের সংখ্যাই উল্লেখ করেছেন। খালিশপুর স্কুলের পিছনে যাদের মারা হয়েছিল, তাদের মোট সংখ্যা জানা যায় না। স ম বাবর আলী এই সংখ্যাকে শুধুমাত্র ‘বহু লোক’ বলে উল্লেখ করেছেন।১১২ অন্যত্র তিনি এই সংখ্যাকে দেড়শ’, তিনশ’, পাঁচশ’—এ রকম কয়েকটি অনুমানের উল্লেখ করেছেন।১১৩ খুলনার তৎকালীন নৌ-ঘাঁটির অফিসার জালাল আকবরের মাসতুতো ভাই মাসুদ ঐ লঞ্চের যাত্রী ছিলেন। তিনি জালাল আকবরকে এই গণহত্যার ঘটনা জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে জনাব আকবর ‘অসংখ্য’ লাশ দেখেছিলেন। জালাল আকবরের মতে, এই সংখ্যা দুই শতাধিক। তিনি কয়েকজন শ্রমিক ও এলাকার অধিবাসীদের সহায়তায় কয়েকটি গর্ত খুঁড়ে মৃতদেহগুলোর গণকবর দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে এই গণকবর থেকে লাশ তোলার কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এমন একজন হলেন চরেরহাটের পার্শ্ববর্তী শোলপুর গ্রামের ওমর ফারুক। তাঁর মতে গণকবরে শ’খানেক মতো মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।১১৪ এসব প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ থেকে চরেরহাট গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে অনুমান করা যায়।
চরেরহাটে ওই দিন দুইটি (মতান্তরে তিনটি) লঞ্চের যাত্রী নামিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। একেকটি লঞ্চে এক থেকে দেড়শত যাত্রী থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। উপরন্তু এই রুটে লঞ্চ বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল এবং গণহত্যার ঠিক আগের দিন (৭ মে ১৯৭১) থেকে পুনরায় তা চালু হয়েছিল। ফলে দুই লঞ্চ মিলিয়ে অন্তত শ’তিনেক যাত্রী ছিল বলে অনুমান করা যায়। সে ক্ষেত্রে মহিলা ও শিশুযাত্রী এবং পালিয়ে যাওয়া দুই-এক জনের কথা বাদ দিলে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে একশত জন ছিল বলে মনে হয়। উল্লেখ্য, সবাই যে চরেরহাটেই মারা গিয়েছিল, এমন নয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অনেকেই নদীতে ডুবেও মারা গিয়েছিল। খুলনার আইচগাতি ইউনিয়নের শোলপুর গ্রামের শামসুর রহমান শামসু চরেরহাটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় পরে মারা যান৷১১৫
এছাড়া, খুলনা সদর থানার মামুদ হোসেন লালমিয়া, খুলনা প্লাটিনাম গ্লাস হাউজের মালিক মাসুদ মোল্লা, রূপসা থানার কোলাপাটগাতি গ্রামের শাহাদাৎ মীর, খুলনা সদরের মাসুদ হোসেন এই গণহত্যায় আহত হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন।১১৬
……………………………………………………
১০৩. মেজর (অব.) এম এ জলিল, ‘৯ নং সেক্টরে সংঘটিত যুদ্ধের বিবরণ’, মাহমুদউল্লাহ, দলিলপত্র, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৫৬৯-৭০।
১০৪. রশীদ হায়দার (সম্পা.), স্মৃতি: ১৯৭১, ১০ম খণ্ড (ঢাকা : বাংলা একাডেমী, ১৯৯৬), পৃ. ৫৬
১০৫. আয়ুব হোসেন ছিলেন তখনকার খুলনার নেতৃস্থানীয় মুসলিম লীগ নেতা।
১০৬. রশীদ, স্মৃতি ১৯৭১, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫৬৷
১০৭. অর্পণউজ্জামান খানের বর্ণনায় লঞ্চের সংখ্যা মোট তিনটি ছিলো বলে মনে হয়। আবার স ম বাবর আলী প্রমুখের মতে লঞ্চের সংখ্যা ছিলো দু’টি। প্রকৃতপক্ষে লঞ্চের সংখ্যা দু’টি না তিনটি ছিলো—তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি৷
১০৮. অর্পণউজ্জামান খান, “আমার ভাই”, রশিদ হায়দার (সম্পা.), স্মৃতি: ১৯৭১, ৯ম খণ্ড (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৬), পৃ. ৪৪।
১০৯. বাবর আলী, দুর্জয় অভিযান, পৃ. ৭৫।
১১০. অর্পণউজ্জামান, প্রাগুক্ত, পৃ. ৪১-৪৪।
১১১. নিহত আয়ুব হোসেনের ভাই মাহমুদ হোসেন খুলনার তৎকালীন পাকিস্তানী নৌ-কমান্ডার গুলজারিন-এর সাথে দেখা করে তাঁর বাপ ভাইয়ের এই মর্মস্পর্শী পরিণতির কারণ জানতে চান। জবাবে গুলজারিন তার কক্ষে রাখা একটি বড় রামদা দেখিয়ে বলে যে, “আমরা খবর পেয়েছি লঞ্চে মুক্তিবাহিনী আসছে। তোমার লোকদের আমার ফৌজ চেক করবে বলে নামিয়ে আনে। তখন লোকজন ঐ সব অস্ত্র দিয়ে ফৌজের ওপর হামলা করলে তারা গুলি করতে বাধ্য হয়”। অনুমান করা যায় যে, এই গণহত্যার প্রায় সাথে সাথেই সামরিক কর্তারা একে বৈধতা দেবার জন্য এই গল্পটি সাজিয়ে ফেলেছিল। দ্র. রশিদ হায়দার। স্মৃতি: ১৯৭১, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫৭-৫৮।
১১২. সাক্ষাৎকার, বাবর আলী, ২ ডিসেম্বর ২০০৪।
১১৩. বাবর আলী, দুর্জয় অভিযান, পৃ. ৭৬।
১১৪. শোলপুর গ্রামে গিয়ে, মি. ওমর ফারুকের সাথে আলাপকালে গবেষক এই তথ্য জানতে পারেন। তারিখ: ৩ জানুয়ারি ২০০৫।
১১৫. সাক্ষাৎকার, ওমর ফারুক, ৩ জানুয়ারি ২০০৫।
১১৬. রশীদ হায়দার, স্মৃতি ১৯৭১, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫৭।
……………………………………………………
সূত্র: একাত্তরে খুলনা মানবিক বিপর্যয়ের ইতিহাস- দিব্যদ্যুতি সরকার