রক্ষাকালী মন্দির গণহত্যা, পাবনা
১১ এপ্রিল বিকেলে পাবনা শহরের ভেতরে পাকিস্তানি বাহিনী প্রবেশ করে পুলিশ লাইন, সার্কিট হাউস, নূরপুর ডাকবাংলো, বিসিক ও ওয়াপদার দিকে যেতে থাকে। এদের একটি দল পলিটেকনিক পার হয়েই ডানদিকে ফজলুল হক রোড দিয়ে রক্ষাকালী মন্দিরের কাছে তিন মাথায় পৌঁছে। সেখানে ডা. বিহারী লাল সাহার গোবিন্দবাড়ি মন্দিরে অনেক লোকজন এসে আশ্রয় নিয়েছিল। বর্বর সেনাবাহিনী সেই বাড়ি থেকে, মন্দিরের ভেতর থেকে এবং রাস্তার আশাপাশে লুকিয়ে থাকা সবাইকে ধরে রক্ষাকালী মন্দিরের সামনে এনে লাইনে দাঁড়া করিয়ে নৃশংসভাবে লোকজনের ওপর গুলি চালায়। সেখানে প্রায় ২০-২৫ জন নিহত হয়। গভীর রাতে জিলাপাড়ার লোকজন মুসলমান কয়েকজনকে রক্ষাকালী মন্দিরের পাশের রাস্তা মনসেফবাবু রোডে নিয়ে কোনোরকমে মাটিচাপা দেয়। হিন্দুদের সৎকার করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের লাশগুলো সেখানেই পড়ে থাকে এবং কয়েক দিন ধরে শেয়াল কুকুর, শকুন খেয়ে ফেলে।
[৬৪১] মোঃ জহুরুল ইসলাম বিশু
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত