পানাউল্লারচর আলগাড় খেয়াঘাট বধ্যভূমি, কিশোরগঞ্জ
ভৈরব শহরকে করায়ত্ত করার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল ১ লা বৈশাখ, নববর্ষের দিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জল, স্থল ও আকাশ পথে ভৈরব বন্দরকে ঘিরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সাবর জোটের বোমার আতঙ্কে শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেন মানুষজন। পলায়নরত শত শত মানুষ ব্রহ্মপুত্র নদ পার হওয়ার জন্য সমবেত হন আলগড়া খেয়াঘাটে। পানাউল্লারচরে হেলিকপ্টর থেকে অবতরণকারী পাকিস্তানি সেনারা ময়মনসিংহ- ভৈরব রেললাইন ধরে ভৈরব শহরের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। রেললাইন থেকে পানাউল্লারচর খেয়াঘাটে শত শত মানুষকে একত্রে জমায়েত দেখে তারা নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞ পাঁচ শতাধিক নিরস্ত্র নারী-পুরুষ, শিশু ও আবাল বৃদ্ধবনিতা শহীদ হন। রক্তে রঞ্জিত হয় ব্রহ্মপুত্র নদ। মৃতদেহগুলো কাছাকাছি একটু উচু জমিতে মাটি চাপা দেয় পাকিস্তানি সৈন্যরা।
[৬২০] ফজলুর রহমান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত