বরইতলা শীহদনগর হত্যাকাণ্ড, কিশোরগঞ্জ
বরইতলা, কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের সদর থানাধীন যশোদল ইউনিয়নের মাগৈর মৌজার একটি গ্রাম। একাত্তরের ১৫ অক্টোবর, বুধবার একদল পাক সেনাবাহিনী ট্রেনে করে বরইতলা গ্রামে এসে পৌঁছায়। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর লক্ষ্যে স্থানীয় রাজাকাররা চিকনীর চর, দামপাড়া, কালিকা বাড়ি, কড়িয়ার, তিলকনাথপুর, গোবিন্দপুর, ভুরির চর গ্রামের প্রায় ৪০০ লোককে একত্রিত করে। সে সময় স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় কিছু পাকসেনা গ্রামের ভেতর ঢুকে পড়ে। ইতোমধ্যে এক রাজাকারের মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয় যে, দুজন পাক সেনা নিখোঁজ হয়েছে। এ খবরের সূত্র ধরে পাক বাহিনী উপস্থিত গ্রামবাসীকে রেল লাইনের দু’পাশে দাঁড় করিয়ে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে ৩৬৫ জনকে হত্যা করে এবং আহত করে আরো অগণিত লোককে। স্বাধীনতার পর এলাকাবাসী বরইতলার নাম পরিবর্তন করে শহীদনগর রেখে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছে।
{৬৩৫} হাসিনা আহমেদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত