You dont have javascript enabled! Please enable it!

হাতিয়া গণহত্যা, নোয়াখালী

৯ মে সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তান আর্মি জাহাজে করে হাতিয়ায় পৌঁছে তারা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পুরাতন হাতিয়া টাউনে ওঠে। সংখ্যায় ছিল প্রায় ৫০০ জন। তাদের দফায় দফায় মর্টারের আওয়াজে কম্পিত হয়ে ওঠে হাতিয়া শহর। তারা হাতিয়ার উত্তর দিক থেকে আসে। বাজারে ঢুকে উত্তর দিকের দোকানে এসে মহিউদ্দিন আবুকে জিজ্ঞেস করে ‘ডাক্তার কাঁহা?’ তখন তিনি উত্তর দিলেন বাড়িতে। তখন সেই দোকান থেকে মহিউদ্দিন আবু, আব্দুল মমিনকে তুলে নিয়ে মোশতাক মিয়ার দোকানের খাটের তলায় গুলি করল। আবুল কালাম, গোলাপ সওদাগর, ফজলুল করিম প্রমুখকেও গুলি করে। তবে মহিউদ্দিন আবু ছাড়া অন্য সকলেই তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান। এরপর পাকবাহিনী ওছখালীতে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগায় এবং দাসের হাটে নারী নির্যাতন করে।
[88] জোবাইদা নাসরীন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত