হাকিমপুর গণহত্যা, দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলাধীন হাকিমপুর থানার সীমান্তের পাঁচ মাইল এলাকা বরাবর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসররা হত্যাযজ্ঞের সাথে পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে। ২২ এপ্রিল পাকবাহিনী বাজারের চারদিকে অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ২৩ এপ্রিল পাকবাহিনী পালপাড়ার বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং নিরীহ সাতজনকে হত্যা করে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রাণকৃষ্ণপুর গ্রাম পাকবাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে সমস্ত পুরুষকে বেছে লাইনে দাঁড় করিয়ে ১৪৯ জনকে মেশিনগানের গুলিতে হত্যা করে। এছাড়াও পাকসেনারা গ্রামবাসীদের মন ভুলানো আশ্বাস দিয়ে রাস্তা তৈরি, পরিখা খনন ও খাবার সংগ্রহ করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু প্রয়োজন ফুরিয়া গেলে বিমান আক্রমণ হতে আত্মরক্ষার অজুহাতে বিরাট গর্ত খুঁড়িয়ে নিয়ে সে গর্তেই মেশিনগান দিয়ে ব্রাশফায়ার করে মেরেছে নিরীহ গ্রামবাসীদের।
[১৩৭] মঞ্জুমা সেলিম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত