সুনাই নদীর তীর বধ্যভূমি, মৌলভীবাজার
বড়লেখা থানার দাসের বাজার ইউনিয়নের গুলুয়া গ্রামের মহাজন বাড়ির লোকনাথ দাসের ছেলে নৃপেন্দ্র দাস (৪০) পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী, সমাজসেবী ডা. নৃপেন্দ্র ছিলেন ইউপি সদস্য। পাকিস্তানিদের এ দেশীয় দোসর সুনামপুর গ্রামের শান্তি কমিটির সদস্য বশিরউদ্দিন এবং বর্ণির ওয়াহাব আলীর নেতৃত্বে ১০-১১ জন পাক আর্মি বাড়ি থেকে ডাক্তার নৃপেন্দ্রকে ধরে নিয়ে আসে। দিনদুপুরে সুনাই নদীর তীরে বেয়নেট দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ডা. নৃপেন্দ্র দাসকে। গুলুয়া গ্রামের পশ্চিমে সুনাই নদীর বধ্যভূমিতে আরো অনেককে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধারা দালাল বশিরউদ্দিনকে হত্যা করে অল্পদিন পরেই। কিন্তু তাতে আবার অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে তার পরিবারের ওপর। তাঁর ভাই দিগেন্দ্র দাসকে আবার পাক আর্মি ধরে নিয়ে যায় ক্যাম্পে। টানা সাত দিন চলে তার ওপর নারকীয় নির্যাতন। অবশেষে সৌভাগ্যবশত তিনি ছাড়া পেয়ে যান। নৃপেন্দ্র দাসের পারিবারিক পূজামণ্ডপ ধ্বংসসাধন করে পাক আর্মি।
[১২] গোপাল দত্ত
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত