শাহ বন্দর গণহত্যা, মৌলভীবাজার
২৫ মার্চের পর মৌলভীবাজার শহরে কারফিউ জারি করে পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যরা। আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান এমপিএ ব্যোমকেশ ঘোষ (টেমা বাবু), ছাত্রলীগ নেতা মুজিবুর রহমান মুজিবসহ অনেকেই গ্রেফতার হন। এ সময় শহরের পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহ থেকে প্রচুর লোকজন জমায়েত হতে থাকে। সংঘটিত হতে থাকে মিছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের দিকে মিছিল আসতে থাকে।
মার্চ কনকপুর এলাকা থেকে একটি বিরাট মিছিল সংগঠিত হয়ে শহরের দিকে অগ্রসর হয়। সকাল-বেলায় শুরু হয়ে দশটার দিকে মিছিল পৌঁছায় শাহ বন্দরে। তখন কয়েক হাজার মিছিলকারীর গণনবিদারী শ্লোগানে আকাশবাতাস প্রকম্পিত।
এ সময়ই মৌলভীবাজারের দিক থেকে পাকবাহিনীর আগমন ঘটে। মুখোমুখি হয় মিছিলের। তারপর বিনা প্ররোচনায় গুলি ছোড়ে তারা মিছিলের ওপর। পাখির মতো লুটিয়ে পড়ে কজন মিছিলকারীরা শহীদ হন শাহ বন্দর এলাকার কসবা গ্রামের তারা মিয়া। কারো কারো মতে, সেদিন শাহ বন্দরের শহীদ হন মোট তিনজন। এই অঞ্চলে আরো বেশ কিছু লোককে পাকবাহিনী হত্যা করে।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত