লালকৈলাশ নির্যাতন ও গণহত্যা, সিলেট
৬ মে ইলাশপুরে গণহত্যা সমাপন করে পাকিস্তানি নরপশুরা অগ্রসর হয় লালকৈলাশ গ্রামের দিকে। এই গ্রামটি ছিল তাদের দ্বিতীয় টার্গেট। অভিযান চলে সেখানেও। প্রথম বলি হয় মঙ্গলচণ্ডী নিশিকান্ত উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র বিমল দেব। তারপর সুকুমার পাল। এভাবে একটির পর একটি বাড়িতে হানা দিতে থাকে তারা। ওইসব বাড়িতে তারা যাকেই পেয়েছে, তাকেই হত্যা করেছে। একটু পরেই মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েন রঞ্জন দেব। তারপর রতন শব্দকর। এভাবেই মানুষ নামধারী পশুরা হত্যা করে স্থানীয় লোকজনদের। কিন্তু এক সময় বন্দুকের গর্জন শান্ত হয়ে তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় লালকৈলাশের মা-বোনদের প্রতি। সংঘটিত করে তারা জঘন্যতম অপরাধ। সমস্ত গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয়। আটক সুন্দরী রমণীদের তারা বেছে বেছে নিয়ে এল ইলাশপুর গ্রামে। তারপর সেখানে শুরু হলো পশুবৃত্তি চরিতার্থ করার পালা। দ্বিতীয়বার লালকৈলাশে পাকবাহিনী প্রবেশ করলে তাদের হাতে নিহত হন কছির উল্লাহ্ ও নির্মল কান্তি দেব। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ছাতকের বেতুয়ায় ধরা পড়েন মিহির লাল দেব। দালাল মফচ্ছিল আলী ফকিরের প্ররোচনায় হত্যা করা হয় তাঁকেও।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত