You dont have javascript enabled! Please enable it!

লালমনিরহাট গণহত্যা ও বধ্যভূমি, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে দুঃখজনক অধ্যায় হলো অসংখ্য নিরীহ নিরপরাধ লোকের প্রাণহানি। এ জন্য যতটুকু না দায়ী পাকিস্তানি সেনারা তার চেয়ে বেশি দায়ী স্থানীয় বাসিন্দা, পার্বতীপুর, সৈয়দপুর থেকে আগত বিহারি গুন্ডারা এবং গ্রামাঞ্চলে রাজাকারের দল। পাকিস্তান সৈন্যরা লালমনিরহাট প্রবেশের পরপর গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে আশ্রয় নেয় শহরবাসী বাঙালি বিশেষ করে রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। একমাত্র জুন মাসের মধ্যেই শতাধিক রেল কর্মচারী নিহত হয়। গ্রামাঞ্চলে শহরাঞ্চলে নিহত সাধারণ মানুষের সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। লালমনিরহাট এরোড্রাম এবং লালমনিরহাট কলেজ ছিল পাকবাহিনীর মূল ঘাঁটি। সমগ্র দিনাজপুর-রংপুর এমনকি বগুড়া জেলাতেও সেনা ও রসদ সরবরাহ বজায় ছিল এ বিমান ঘাঁটির মাধ্যমে। উপরোক্ত জায়গা দুটি নারী ধর্ষণের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
[১৮২] মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!