You dont have javascript enabled! Please enable it!

রায়পাড়া মাদ্রাসা বধ্যভূমি ও গণকবর, যশোর

চাঁচড়া বধ্যভূমির পাশে অবস্থিত রায়পাড়া মাদ্রাসা যশোরের আরেকটি বধ্যভূমি। হানাদার বাহিনীর কবল থেকে রক্ষা পাবার জন্য স্থানীয় বাঙালিদের অনেকে মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। এপ্রিলের কোনো একদিন সশস্ত্র পাকবাহিনী এখানে ঢুকে গুলি করে ২৩ জনকে হত্যা করে। নিহত যে ১২ জনের নাম জানা যায় তাঁরা হলেন, মাওলানা হাবিবুর রহমান, ছাত্র নোয়াব আলী, আতিয়ার রহমান, যশোর জেলা স্কুলের শিক্ষক আব্দুর রউফ, যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম আব্দুল হামিদ, তাহের উদ্দীন ও তাঁর ছেলে বরিশাল মেডিকেলের ছাত্র কামরুজ্জামান, শিক্ষা অফিসের হেড ক্লার্ক কাজী আব্দুল গনি ও তাঁর ছেলে কাজী কামরুজ্জামান, কাজী দীন মোহাম্মদ, কাজী আবুল কালাম আজাদ ও সম্মিলনী স্কুলের শিক্ষক আইয়ুব হোসেন প্রমুখ।
মাদ্রাসার সামনেই মাটি খুঁড়ে দাফন করা হয় তাঁদের। আব্দুর রহিম এই মাটি খোঁড়ার কাজ করেন। তিনি জানান, সকাল আটটার দিকে পাকিস্তানি সৈন্যরা মাদ্রাসায় ঢুকে ব্রাশফায়ার করে। দুপুরে রহিম ও তাঁর ভাই এসে লাশ গুনে দাফন করেন। তাঁরা এমদাদ নামে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এমদাদ বর্তমানে যশোর কালেক্টরেটে পিয়নের কাজ করেন।
[২৫৯] সংকলন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত