রায়েরবাজার বধ্যভূমি, ঢাকা
১৮ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হয়। ঐ দিন রায়েরবাজারের বিভিন্ন গর্ত থেকে প্রচুর লাশ উদ্ধার করা হয়। অধ্যাপক, ডাক্তার, সাংবাদিক, সাহিত্যিকদের লাশই বেশি ছিল। এঁদের মধ্যে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, সেলিনা পারভীন, ডা. ফজলে রাব্বী প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। আলবদর বাহিনীর এই জঘন্যতম অভিযানে কালুশাহ পুকুরপাড় থেকে গোল মসজিদ পর্যন্ত এবং রায়েরবাজারের বিস্তীর্ণ মাঠ ও হাজার হাজার মাটির ঢিবির মধ্যে পড়ে ছিল অসংখ্য কঙ্কাল। এদের পূর্বপরিকল্পিতভাবে সবাইকে হত্যা করা হয়। নয় মাসে কোনো বাঙালি এখানকার ইটখোলার রাস্তা দিয়ে যেতে সাহস করেননি। এই বধ্যভূমিতেই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে হত্যা করা হয়। এসব হত্যাকাণ্ডে পাকসেনাদের সহযোগী আলবদর ও রাজাকাররা মূল ভূমিকা পালন করে।
[৩৪] ডা. এম.এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত