রুহিয়ার রামনাথ হাটের গণকবর, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে যে নির্মম, বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল তাঁর মধ্যে ১ নম্বর রুহিয়া ইউনিয়নের রামনাথ হাটের গণহত্যা বড়ই বেদনার। এই হত্যাকাণ্ডে প্রাণ দিয়েছিলেন মোট ৬ জন এবং তাঁরা প্রত্যেকে ছিলেন পরস্পরের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে গাঁথা।
৮ আগস্ট রুহিয়া ইউনিয়নের কানিকশালগাঁ গ্রাম থেকে একই সঙ্গে ছয়জনকে পাকবাহিনী ধরে নিয়ে আসে রামনাথ হাটের জনাব নুরুল ইসলামের বাড়িতে। উল্লেখ্য, এই বাড়িতে পাকবাহিনী আস্তানা গেড়েছিল। নুরুল ইসলাম ছিলেন সকল শহীদের নিকট আত্মীয়, এখানেই সংঘটিত হয় এই গণহত্যা।
১০ আগস্ট পর্যন্ত শহীদ পাকবাহিনী নির্মমভাবে অত্যাচার করে, হাত-পা- চোখ বেঁধে গুলি করে হত্যা করে এবং এক সাথে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি শহীদদের লাশ শনাক্ত করে পুনরায় মর্যাদার সঙ্গে নুরুল ইসলামের রামনাথ হাটের বাসভবনের সামনে সমাধিস্থ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্থানীয় এমপিএ ফজলুল করিমের নিকট আত্মীয় হবার কারণেই এ হত্যাযজ্ঞ ঘটানো হয়েছিল বলে জানা যায়।
[৯৫] মোহাম্মদ এমদাদুল হক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত