You dont have javascript enabled! Please enable it!

রাউতগাও গণহত্যা, সিলেট

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রথম দিন পৃথিমপাশা থেকে যাওয়ার সময় রাউতগাঁও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামে প্রবেশ করে। কোনো কারণ ছাড়াই পাকড়াও করা হয় আবদুর রহমান মুন্সিকে। গ্রামে তিনি ছমরু মুন্সি নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। খুবই জনপ্রিয় লোক তিনি। ফানাই নদীর তীরে নিয়ে পানিতে নামিয়ে আবুল মিয়া, রেহান মিয়া ও একজন রিকশাচালকের সাথে তাঁকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। ডা. অক্ষয় কুমার দাসকে হত্যা করে পাকবাহিনী তাঁর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে। তাঁর বাড়ি ছিল রাউতগাঁও গ্রামে। নর্তনের অ্যাডভোকেট রামরঞ্জন ভট্টাচার্যকে হত্যা করা হয় ২৬ মে বুরুঙ্গা বাজারে। নর্তনের পবিত্র ধরকেও হত্যা করে তারা বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে। দালাল ফুল মিয়ার প্ররোচনায় হত্যা করা হয় মনরাজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বশির উদ্দিনকে। রাউতগাঁও গ্রামের শফি আহমদ চৌধুরী ছিলেন ইস্টার্ন রেলওয়ের চিফ প্ল্যানিং অফিসার। ২৩ এপ্রিল অকথ্য নির্যাতনের পর তাঁকে হত্যা করা হয় চট্টগ্রামে। মেনার মহরের সৈয়দ তজমুল আলী ছিলেন পুলিশ বাহিনীতে। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় পাকবাহিনী হত্যা করে তাকে নোয়াখালী পুলিশ লাইনে।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!