You dont have javascript enabled! Please enable it!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমি, রাজশাহী

পাকবাহিনী ১৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নেয়। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে সুদৃঢ় ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলে। ১৪ এপ্রিলের মধ্যে রাজশাহী শহর তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। রাজশাহীতে প্রবেশ করার সময় পাকবাহিনী সড়কের দু ধারে সমস্ত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় ও শত শত লোককে হত্যা করে। তারা কাটাখালী, মাসকাটা দীঘি, চৌদ্দপাই, শ্যামপুর, ডাশমারী, তালাইমারী, রানীনগর এবং কাজলার বাড়িঘর জ্বালিয়ে ধ্বংস ও নির্যাতনের ঝড় বইয়ে দেয়।
পাকিস্তানিরা জোহা হল, আব্দুল লতিফ হল, জিন্নাহ হল, মুন্নুজান হল, বুধপাড়া, কলা ভবন, রসায়নবিদ্যা ভবন, বিজ্ঞান বিভাগ, এক্সপেরিমেন্টাল স্কুল ভবন এবং বেশ কিছু স্টাফ কোয়ার্টারে শিবির স্থাপন করে। তবে জোহা হলকেই তারা মূল ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে। পাকবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপক গণহত্যা চালায়। এসব ধ্বংসলীলায় তৎকালীন উপাচার্য সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন সরাসরি সহযোগিতা করেন। এ ছাড়া মনোবিজ্ঞান বিভাগের ড. মতিউর রহমান, দর্শন বিভাগের প্রধান ড. জামিল, ভূগোল বিভাগের রিডার ড. শামীম এবং আইন বিভাগের ডিন শাহ্ জিল্লুর রহমান হানাদারদের সাথে বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়।
[৩৪] ডা. এম.এ. হাসান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!