রংপুর গ্রাম গণহত্যা, খুলনা
১৪ এপ্রিল কুখ্যাত বিহারি সৈয়দ খানসহ একদল মিলিটারি এলাকায় প্রবেশ করে। বাংলা নববর্ষের উৎসবমুখর এই দিনে পাকসেনারা রংপুর গ্রামে নির্মম গণহত্যা চালায়। তারা পথে ও বিভিন্ন বাড়িতে আবালবৃদ্ধবণিতা যাদেরকেই পেয়েছে হত্যা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে গ্রামের শত শত বাড়ি। এভাবে ধ্বংসলীলার মাধ্যমে প্রতিশোধ নিয়ে সারা উৎসবমুখর রংপুর গ্রামকে শোকে মুহ্যমান করে দিয়ে যায়। হানাদাররা সামনে পড়া দুজন মোটর সাইকেল আরোহীকে মোটর সাইকেলসহ তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি। এ দিন এখানে আহত হয় ১৪ জন।
এ ঘটনা এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং এ দিনই রংপুর ও শাহাপুরসহ আশপাশের গ্রামসমূহের হাজার হাজার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ জীবন বাঁচাতে সহায়-সম্বল ফেলে রেখে ভারতের উদ্দেশ্যে দ্রুত মাতৃভূমি ত্যাগ করে চলে যায়। ফলে এ সকল গ্রাম জনশূন্য হয়ে এবং পরবর্তীতে মুসলিম লীগ ও পিস কমিটির সদস্যরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পরিত্যক্ত বাড়িঘর, গো-মহিষসহ ধন- সম্পদ অবাধে লুটপাট করে নিয়ে।
[৯২] মোল্লা আমীর হোসেন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত