রণদাপ্রসাদ সাহার বাড়িসংলগ্ন নদীর ঘাট গণকবর, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন কমলচন্দ্র সাহা। পাকবাহিনী যখন এলাকায় প্রবেশ করে তখন তিনি দোকানে ছিলেন। তাঁরা তাঁকে প্রথমেই প্রশ্ন করে হিন্দু না মুসলমান। কমল অকপটে স্বীকার করেন যে তিনি হিন্দু। তখন তারা বলে যে, “মালাউনের বাচ্চা, দোকানে যা টাকা-পয়সা আছে দিয়ে দাও, আর হিন্দু যাঁরা আছে তাঁদের দেখিয়ে দাও.” কমল টাকা-পয়সা দিতে পারেননি। এ সময় তাঁকে খানিক দূরে হিন্দু বাড়ি চিনিয়ে দেয়ার জন্য নিয়ে যায় তারা, কিছুক্ষণ পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তারপর কমলের ভাই হরিপদ সাহা থানায় যান তাঁর লাশ আনতে কিন্তু থানার দারোগা তাঁকে কাছেই যেতে দেয়নি। তিনি আরও জানান, সেদিন পাকবহিনী বিভিন্ন বাড়ি থেকে পুরুষদের ধরে নিয়ে হত্যা করে। তাঁর জানা মতে, এই হত্যাকাণ্ডের পর কিছু লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয় এবং ১৮ থেকে ২০ জনের লাশ রণদাপ্রসাদ সাহার বাড়ির কাছে ঘাটে গণকবর দেয়া হয়।
[৩৪] দিলরুবা বেগম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত