মেহেরপুর থানা পরিষদ নির্যাতন কেন্দ্র, মেহেরপুর
আমঝুপি এবং ওয়াপদা মোড়ে গণহত্যা সংঘটনের মধ্য দিয়ে ১৮ এপ্রিল মেহেরপুর শহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রবেশ ঘটে। মাত্র এক প্লাটুন সৈন্য মেহেরপুর থানা পরিষদে (তখন সিও অফিস নামে পরিচিত ছিল) রেখে সেদিনের মতো অন্যরা ফিরে যায় চুয়াডাঙ্গায়। এরপর এই থানা পরিষদই হয়ে ওঠে মেহেরপুরের প্রথম নির্যাতন কেন্দ্র। পথচারী এবং নিকটবর্তী গ্রাম থেকে ধরে আনা নিরীহ মানুষকে প্রথমে থানা পরিষদের সামনে কাঁঠালতলায় হাজির করা হতো, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে আরো পশ্চিমে জনমানবশূন্য স্টাফ কোয়ার্টারে স্থাপিত নির্যাতন কেন্দ্রে। এ পর্যন্ত যারা পৌঁছেছে তাদের আর স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন ঘটেনি, বরং পাশেই প্রবহমান ভৈরববক্ষে ঘটেছে সলিল সমাধি।
[১০৩] রফিকুর রশীদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত