মুড়িয়া গণহত্যা, সিলেট
সিলেটের মুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব সীমানা বরাবর ভারতীয় সীমান্ত। পক্ষকালব্যাপী সেই সীমান্তে যুদ্ধ হয়েছে পাকবাহিনীর সাথে। সেই যুদ্ধে অসংখ্য পাকসেনা প্রাণ দিলেও বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা হারাই। এছাড়া এই ইউনিয়নের যেসব যুবক-তরুণ যুদ্ধ করে প্রাণ বিসর্জন দেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলেন। এই অপরাধেই তাঁদের হত্যা করা হয়। এছাড়া কনাই মিয়াসহ কয়েকজন কৃষককেও তারা হত্যা করে।
সারপার গ্রামে পাকবাহিনী হত্যা করে মিয়া, ইউসুফ আলী ও বটল নয়াগ্রামের আরব আলী, তাজপুরের নিরস্ত্র তইয়ব আলী, মাইজকাপনের কুঠি মিয়া তাপাদার ও কনাই মিয়া তাপাদার, ছোট দেশের রফিক উদ্দিন এবং আষ্টঘরির আবদুল লতিফ ও কুটু চান্দের এক ছেলেকে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের নয় মাসে ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামে হত্যা করা হয় আকবর আলী, মিছির আলী ও আকদুল আমির ড্রাইভারকে। ছোট দেশের তোতা মিয়াকে ছবিলপুর গ্রাম থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকসেনারা। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গোলাপগঞ্জ। তারপর সেখান থেকে কোতোয়ালি থানায়। সবশেষে রেসিডেন্সিয়েল স্কুলে। অতঃপর তাঁর আর কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত