মহেশপুর থানা হাসপাতাল ও সামরিক ছাউনি নির্যাতন কেন্দ্র ও গণহত্যা, যশোর
যশোর জেলার মহেশপুর থানা হাসপাতাল ও সামরিক ছাউনি ছিল নির্যাতন ও গণহত্যা কেন্দ্র। পাকবাহিনী মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ, খালিশপুর ইত্যাদি এলাকা থেকে বাঙালিদের ধরে এনে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রাখত। এরপর প্রতিরাতেই তাদের কাউকে জবাই করে, কাউকে বেয়োনেট চার্জ করে, আবার কাউকে গুলি করে হত্যা করত। লাশগুলো ৫০-৬০টি গর্তে গণকবর দিত। মেয়েদের ধরে এনে ধর্ষণ ও পাশাবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হতো। জানা যায় এই হাসপাতাল এলাকাতেই ৫০০ নারী-পুরুষকে হত্যা করা হয়েছে। যশোরের সামরিক ছাউনির অমানুষিক নির্যাতন সয়ে যারা বেঁচে ছিলেন, সারা জীবন তাঁদের নির্যাতনের চিহ্ন বয়ে বেড়াতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা শাহজালাল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নির্যাতনের মাত্রা এত বেশি ছিল যে মনে হতো মৃত্যুই শ্রেয়। আত্মহত্যারও কোনো পথ ছিল না। এমনকি পরনের কাপড় পর্যন্ত থাকত না। নির্যাতন এবং গণহত্যার এ চিত্র ছিল যশোরের সর্বত্র।
[৩৪, ১৩৭] দিলরুবা বেগম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত