You dont have javascript enabled! Please enable it!

মহেশপুর বধ্যভূমি, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্মৃতি বহনকারী এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি। কোদালের কোপ দিলেই মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে পড়ে মানুষের মাথার খুলি, কঙ্কাল, হাড়-হাড্ডি আর অস্থিমজ্জা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালে শত শত মুক্তিকামী মানুষকে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে নিয়ে এসে নারকীয়ভাবে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। সেখানে এখন চাষাবাদ হয়।
মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিল হানাদার পাকিস্তান বাহিনীর ক্যাম্প ও টর্চার সেল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখানে ৯ মাস ধরেই বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মুক্তিকামী মানুষকে ধরে এনে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এরপর নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করে কমপ্লেক্স সংলগ্ন পূর্বদিকের স্থানটিতে পুঁতে রাখা হয়।
স্থানীয় তোতা মণ্ডল জানান, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার পিতা নাজিমউদ্দিন মণ্ডলকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে সেখানে পুঁতে রাখে। মহেশপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল সংলগ্ন ঐ স্থানটিতে শত শত মুক্তিকামী মানুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এটি এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি।
[৪১৭] আবদুর রহমান মিল্টন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!