ভাড়ালা গণহত্যা, পাবনা
২৬ মে বুধবার পাক বর্বররা পাবনা সদর থানার ভাড়ালা গ্রামে পৌঁছায়। আকস্মিকভাবে গ্রামে পৌছেই তারা আতঙ্কগ্রস্ত বেশকিছু গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে গিয়ে একত্র করে ভাড়ালার ঐতিহাসিক শাহি মসজিদ প্রাঙ্গণে। এর ভেতর থেকে তারা সেদিন সন্দেহভাজন ২৫ জন গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে যায়। এ অবস্থায় গ্রামজুড়ে উঠল কান্নার রোল। পাকবাহিনীর হাতে ধৃত এসব গ্রামবাসীর মধ্যে ছিলেন মো. আব্দুল জব্বার শেখ, রোস্তম আলী শেখ, সিরাজুদ্দীন শেখ, নুরুল হক শেখ, ইয়াদ আলী সরদার, হাফিজ সরদার এবং মোচাই খাঁসহ আরও অনেকে। এঁদের কেউ আর কোনো দিন ফিরে আসেননি নিজেদের গ্রামে।
পরে শোনা গিয়েছিল, তাঁদের ধরে নিয়ে গিয়ে তিন দিন পাবনার বন্দি শিবিরে অনাহারে রেখে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। পরে আটজনকে দেবোত্তর নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। অবশিষ্টদের গুলি করে হত্যা করা হয় সাড়াঘাটে নিয়ে গিয়ে। এঁদের মধ্যে মোচাই খাঁ সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েও কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যান।
[১৭] আবুল কালাম আজাদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত