ভাতারমারী ফার্মের গণহত্যা, ঠাকুরগাঁও
১৭ এপ্রিল ৭ ট্রাক ভর্তি খানসেনা ঠাকুরগাঁও থেকে পীরগঞ্জ বাজারে প্রবেশ করে। তাদের দেখে আলতাফ মৌলভী এবং আরো কয়েকজন লোক ‘নারায়ে তকবির আল্লাহ আকবর’ শ্লোগান দিতে থাকে। খানসেনাদের গাড়ি থেকে একজন নেমে এসে জিজ্ঞেস করেছে-
—কিয়া বোলা সুফী সাহেব? কিয়া বোলা?
-পাকিস্তান জিন্দাবাদ
আলতাফ মৌলানার জবাব।
–হাকা এমপি, নিক্তি ইয়া কিস্তি? কোনো জিতা হ্যায়? আলতাফ মৌলানা বললেন— ‘কিস্তি জিতা হ্যায়’। একথা শুনে পাঞ্জাবি সেনাটি আলতাফ মৌলভীর গালে কষে চড় মারল এবং বলল- ‘তুম বারবার বোলতা হ্যায় নারায়ে তাকবির আল্লাহ আকবার, ফির কিসতি ক্যায়সে জিত গিয়া?’
খুব গালাগালি করে খানসেনারা ওখান থেকে ৫ জনকে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। মৌলানাকে তোলেনি। পরে এই পাঁচজনকে ভাতারমারী ফার্মের (বর্তমান জামালপুর ফার্ম) প্রবেশমুখে রাস্তার পাশে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। এর মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, আব্দুল জব্বার, ডা. সুজাউদ্দিন, মোজাফফর বানিয়া এবং সেলিম।
[ ৯৫] মোহাম্মদ এমদাদুল হক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত