You dont have javascript enabled! Please enable it!

বোয়ালমারী হত্যাকাণ্ড, ফরিদপুর

মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পাকসেনারা রাজাকারদের সহায়তায় ফরিদপুরের ময়েনদিয়া বাজার লুট করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। ঐ দিন হাসামদিয়া যজ্ঞেশ্বর সাহাসহ ৪ জন লোককে গুলি করে হত্যা করে। ডা. ননী গোপাল সাহা ও যজ্ঞেশ্বর সাহার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, বুলেটবিদ্ধ একজন লোক বেঁচে গেলে বাচ্চু রাজাকার তাকে পুনরায় এসে গুলি করে
হত্যা করে।
মে মাসে খরসুতি এবং গোহাইলবাড়িতে নারায়ণ চন্দ্র কুণ্ডু, হরিপদ মণ্ডলসহ ৮- ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং বেশ কিছু বাড়িতে লুটপাট করে পুড়িয়ে দেয়। ১৪ আগস্ট বোয়ালমারী থানা আক্রমণের পর ১৬ আগস্ট পাকসেনারা গুনবাহা, চাপলডাঙ্গা, চতোল, ছোলনা, বাইখীর, শিরগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৫০ জন লোককে হত্যা করে। ঐদিন বোয়ালমারীর বেশ কয়েকটি ঘরে লুটপাট করে এবং অনেক ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। চতুল মৃধার বাড়িতে টেপু মৃধা, রউফ মৃধাসহ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ছোলনা ও বাইখীরেও লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পাকসেনাদের ঐ অপারেশনে কামার গ্রামের আরো অনেকে নিহত হয়।
[১৫] আবু সাঈদ খান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!