ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় গণহত্যা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পাকবাহিনী এলাকায় শিক্ষাঙ্গন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর সবকিছুই বোমা মেরে আগুন দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল। কলেজ প্রাঙ্গণ, ওয়াপদা প্রাঙ্গণ, ফাতিয়ারা, করুলিয়া খালের পাড়, উজানিসর সেতুসহ শহরের আরও অন্যান্য স্থানে চোঁখ-হাত বাধা অবস্থায় বাঙালিদের ধরে এনে হত্যা করত। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে হতভাগা মানুষদের আনা হতো। এছাড়া পৌর এলাকার বাইরে কসবা, নবীনগর, আড়াইবাড়ি, দেবগ্রাম, তারাগান, আখাউড়া, ইবশাল, সোহাগপুর, ভাদরপুর, নাসিরনগর, আশুগঞ্জ, সরাইল, ঘড়িঘর, বিদ্যাকুট, লালপুর, আড়াইসিতা, তালশহর, ক্রোড়া চারগাছ, হরণ প্রভৃতি এলাকা থেকে মানুষকে ধরে এনে পাকবাহিনী হত্যা করে। স্বাধীনতার পর এসব স্থান থেকে মানুষের হাড়, মাথার খুলি, পায়ের জুতা, ব্যবহার্য কাপড় পাওয়া যায়।
[৩৪] দিলরুবা বেগম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত