You dont have javascript enabled! Please enable it!

৪ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- পূর্বাঞ্চল

ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের নেতৃত্বে এক কোম্পানি নিয়মিত সৈনিকসহ ইপিআর সৈনিকেরা নরসিংদী এলাকায়, ক্যাপ্টেন নাসিমের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল-এর আলফা কোম্পানি মুজাহিদ সহযোগে আশুগঞ্জে, লেফটেন্যান্ট হেলাল মোরশেদের নেতৃত্বে এক প্লাটুন নিয়মিত সৈনিকসহ ইপিআর সৈন্যরা লালপুরে, ইপিআর ও মুজাহিদদের মিশ্রণে এক কোম্পানি একজন জেসিও (জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার) নিয়ন্ত্রণে আজবপুরে, ক্যাপ্টেন আইনুদ্দিনের নেতৃত্বে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল-এর ডেল্টা কোম্পানির সাথে ইপিআর সৈন্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান নেয়। ইপিআর ক্যাপ্টেন মতিনের কমান্ডে একটি কোম্পানি সরাইলে, ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল এর চার্লি কোম্পানি শেরপুর-শাদীপুরে, দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল এর ডেল্টা কোম্পানি মেজর মঈন এর কমান্ডে তেলিয়াপাড়ায় অবস্থান নেয়। সিলেটে তিনটি অক্ষে শফিউল্লাহর এবং সিআর দত্তের যৌথ বাহিনী পাকিস্তানীদের সুরমা দক্ষিন পাড় হতে উত্তরপারে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। তারা সালুটিকরে ঘাটি স্থাপন করে। একটি হল শেরপুর সাদিপুর, একটি ফেঞ্চুগঞ্জ দিয়ে রেল লাইন হয়ে আরেকটি শেওলা ঘাট দিয়ে।  মেজর খালেদের বাহিনী উজানিসার ব্রিজে এক কোম্পানি, গঙ্গাসাগরে এক কোম্পানি, গোকর্ণ ঘাটে এক কোম্পানি মোতায়েন করা হয়।  ৪ তারিখেই শফিউল্লাহ তেলিয়াপাড়াতে প্রশিক্ষন শিবির চালু করেন। সেখানে ৭০০-৮০০ এর মত যুবক প্রশিক্ষন নেয়। মেজর নুরুল ইসলাম প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন। লেঃ ইব্রাহিমকে সদর দপ্তরে স্টাফ অফিসার হিসেবে রাখা হয়।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!